ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষে চলল গুলি, বোমা। ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান থানার ফকিরপুর-ইদিলপুর এলাকায়। গুলিতে জখম হয়েছেন বালিখাদানের কর্মী তথা স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহত তৃণমূল নেতা সেখ পান্নালাল ওরফে সেখ ফটিককে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, কমপক্ষে দুটি বোমাবাজি করা হয়েছে এবং ৩ রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছে। এই ঘটনায় দুপক্ষই অভিযোগ দায়ের করেছে।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরেই ইদিলপুর এবং ফকিরপুরে দামোদরের বালিঘাটের দখলদারী নিয়ে অরুণ চৌধুরী গোষ্ঠীর সঙ্গে সেখ পান্নালালের গোষ্ঠীর বিবাদ চলছে। শনিবার নতুন বছরে দুপক্ষই সদরঘাটে যায় পিকনিক করতে। অভিযোগ, এই পিকনিকে যাবার সময় গাড়ি রাখাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে ঝামেলা বাধে। হাল্কা সংঘর্ষও ঘটে। খবর পেয়ে বর্ধমান থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
এদিন সকালে পান্নালাল যখন বালিঘাটে কাজে যাচ্ছিলেন সেই সময় তাঁকে ২৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুরজ চৌধুরী এবং রাহুল চৌধুরীরা মারধর করে বলে অভিযোগ। পান্নালালকে মারধর করার খবর পেতেই পান্নালাল গোষ্ঠীর ছেলেরা যখন সেখানে যায়, তখন তাদের উদ্দেশ্য করে বোমা ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। এরপরই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এই সময় পান্নালালকে লক্ষ্য করে ৩ রাউণ্ড গুলি ছোঁড়া হয়। গুলিবিদ্ধ হন তিনি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযোগ, পুলিশের সামনেই এদিন গুলি চালানো হয়েছে। অন্যদিকে, অপর গোষ্ঠীর অভিযোগ, পান্নালাল বালিখাদানের একছত্র আধিপত্য পেতে চাইছে। তাঁর বিরুদ্ধে টাকা গড়মিলের অভিযোগও রয়েছে। এদিন সকালে পান্নালালই বালিঘাটে এসে হামলা চালায়, গুলি চালায়। এদিকে, এদিন সকাল থেকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আতংক ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকাতেই। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন বর্ধমান থানার আইসি সুখময় চক্রবর্তী। নামানো হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। অশান্তিতে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ কয়েকজনকে আটকও করেছে।