বর্ধমানে বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রীর ওপর তৃণমূলের হামলার অভিযোগ
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: নির্বাচন এগিয়ে আসতেই বিজেপি এবং তৃণমূলের মধ্যে রাজনৈতিক সংঘর্ষের পাশাপাশি অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের
পাল্লা ক্রমশই ভারী হচ্ছে। শনিবার বিজেপির ওবিসি মোর্চার রাজ্য নেত্রী তথা বর্ধমানের পর্যবেক্ষক ব্রততী যশ অভিযোগ করেছেন, শুক্রবার রাতে বিজেপির ওবিসি মোর্চার বর্ধমানের কোষাধ্যক্ষ রক্তিমা মণ্ডলের ওপর রাত্রে আক্রমণ চালান তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। এই ঘটনায় বর্ধমান থানায় বর্ধমান পুরসভার ৫নং ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার শেফালী বেগমের স্বামী তথা জেলা আইএনটিটিইউসির সভাপতি পাপ্পু আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।
রক্তিমা মণ্ডল অভিযোগ করেছেন, শুক্রবার রাত্রি প্রায় সাড়ে নটা নাগাদ তিনি দলীয় কাজ সেরে নিজের বাইক নিয়ে তাঁর বাড়ি বর্ধমান শহরের আলুডাঙায় ফিরছিলেন। পথে ফ্লাইওভারের নীচে তাঁর পথ আটকায় প্রায় জনা ছয়েক মোটরবাইক আরোহী। এই সময় পাপ্পু আহমেদের গাড়ি এসে দাঁড়ায়। তাঁর নেতৃত্বে তাঁর ওপর হামলা চালানো হয়। তিনি গুরুতর জখম অবস্থায় কোনোরকমে বাড়ি ফেরেন। রাতেই তিনি বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে ব্রততী যশ জানিয়েছেন, রক্তিমা মণ্ডল যখন যাচ্ছিলেন সেই সময় পাপ্পু আহমেদের গাড়ির দরজা ইচ্ছাকৃতভাবে খুলে দিয়ে রক্তিমা মণ্ডলকে ধাক্কা মারা হয়। তিনি ছিটকে পড়েন রাস্তার পাশে।
এদিকে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এদিন বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী সন্দীপ নন্দী জানিয়েছেন, এই সমস্ত ঘটনার বিচার চান তাঁরা। সবকিছুই তুলে রেখে দিচ্ছেন। বিজেপি সরকার গড়ার পর এই সমস্ত ঘটনার গণতান্ত্রিকভাবে বিচার করা হবে। এদিকে, বিজেপির এই অভিযোগকে একেবারেই ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা বলে জানিয়েছেন, পাপ্পু আহমেদ। তিনি জানিয়েছেন, অভিযোগকারীনি তাঁর এলাকারই বাসিন্দা। তিনি তাঁকে ভাল করেই চেনেন। কিন্তু ইদানীং তাঁর আচার আচরণ গোটা এলাকার মানুষের কাছেই অসহনীয় হয়ে উঠছে।
পাপ্পু আহমেদ পাল্টা অভিযোগ করেছেন, শুক্রবার রাতে রীতিমত মদ্যপ অবস্থায় ওই মহিলা মোটরবাইক নিয়ে তাঁরই গাড়িতে সজোরে ধাক্কা মারেন। তিনি জানিয়েছেন, মদ্যপ অবস্থায় ধাক্কা মারার পরই তিনি পড়ে যান। এই সময় তিনিই তাঁকে উদ্ধার করেন, জল দেন। তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে বলে পাপ্পু আহমেদ জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ওই মহিলাকে যদি মারধর করার দরকারই হয়, তাহলে লোকজড়ো করে মারার দরকার নেই। তিনি নিজেই পারতেন। কিন্তু এই ধরণের মিথ্যা অভিযোগ অত্যন্ত হাস্যকর। পাপ্পু জানিয়েছেন, গোটা বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে বলে তিনি আশাবাদী।