ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: রবিবার রাতে বর্ধমান সদর থানার পুলিশের সামনেই বিজেপি নেতা,কর্মীদের তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা ফেলে পেটানোর ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে এবং প্রতিবাদ জানাতে সোমবার জেলা পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি জমা দিতে আসা খোদ বিজেপির দুই সাংসদ কে আটকে দিলো পুলিশ। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়লো কার্জন গেট থেকে কোর্ট কম্পাউন্ড এলাকায়।
প্রায় ৪০মিনিট আটকে থাকার পর শর্তসাপেক্ষে পাঁচ জন কে পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়। পুলিশের এই বৈষম্যমূলক আচরণ নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বাঁকুড়ার সাংসদ ডাঃ সুভাষ সরকার ও পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় মাহাতো, বিজেপির জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দী সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
সাংসদ ডাঃ সুভাষ মজুমদার বলেন, পুলিশ তৃণমূলের হয়ে তাবেদারী করছে। তানাসাহি চালাচ্ছে গোটা জেলা জুড়ে। যখন খোদ থানার সামনে, পুলিশের সামনে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসা বিজেপি নেতা কর্মীদের ওপর তৃণমূলের গুন্ডারা আক্রমণ করে, তখন সেই ঘটনা প্রতিরোধ করতে সক্রিয় হন না, আর কোন জমায়েত, মিছিল ছাড়াই যখন সেই ঘটনার বিহিত চেয়ে প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করতে সাংসদরা আসেন তাঁদের আটকানোর জন্য গোটা জেলার পুলিশ ফোর্স কে নিয়োগ করে দেয়। এটাই নাকি এই রাজ্যের গণতন্ত্র! তবে এটা বেশিদিন চলবে না।
সাংসদ এদিন জানিয়েছেন, গতকালের ঘটনায় বিজেপির ৬জন নেতা,কর্মী আহত হয়েছেন। তাঁদের বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়েছে। সোমবার বর্ধমান থানায় এই ঘটনার লিখিত অভিযোগ জমা করা হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, শহরের এক প্রাক্তন কাউন্সিলরের নেতৃত্বে ২২,২৩ ও ১নম্বর ওয়ার্ডে লাগাতার আক্রমণ চালাচ্ছে তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডা বাহিনী। পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। সাংসদ জানিয়েছেন, এই ঘটনায় জড়িত দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার না করলে এরপর সাধারণ মানুষ আইন হাতে তুলে নিতে বাধ্য হবেন। পাশাপাশি, বিজেপি দলীয়ভাবে লাগাতার আন্দোলন শুরু করবে।
অপরদিকে, রবিবার রাতের এই হামলার ঘটনা সম্পর্কে খোকন দাস জানিয়েছেন, বিজেপির কারও ওপর কোনো হামলাই চালানো হয়নি। তবে গৃহসম্পর্ক অভিযানের নামে বিজেপির কর্মীরা পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে তৃণমূলের নামে ব্যাপক কুৎসা করছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখছেন – যা ভাল চোখে নিচ্ছেন না তৃণমল কর্মীরা। খোকন দাস জানিয়েছেন, দিনের পর দিন এভাবে চলতে পারে না। তাঁদের পক্ষেও তৃণমূল কর্মীদের আর আটকে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। তবে রবিবার রাতে বিজেপি কর্মীদের ওপর কোনো হামলার ঘটনাই ঘটেনি বলে তিনি জানিয়েছেন।