ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: বিদ্যুতের ১১ হাজার লাইন বন্ধ না করেই ঠিকাদারের এক কর্মী পোলে উঠে কাজ করতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেলেন। রবিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান শহরের নেড়োদিঘী এলাকায়। স্থানীয় এলাকার মানুষ একটি লরির ওপরে উঠে দুর্ঘটনার কবলে পরা ওই বিদ্যুৎ কর্মীকে নীচে নামিয়ে আনেন। সঙ্গে সঙ্গে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ঝলসে যাওয়া কর্মীর অবস্থা সঙ্কটজনক। এদিকে এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।
জানা গেছে, রবিবার বর্ধমান শহরের কাটোয়া রোডের নেড়োদিঘী মোড়ে ১১হাজার ভোল্টের পোলে উঠে কাজ করছিলেন এক বিদ্যুৎ ঠিকা কর্মী,কাজ চলাকালীন হঠাৎই আওয়াজ করে আগুন ধরে যায় ওই বিদ্যুৎ কর্মীর শরীরে। তৎপরতার সঙ্গে ওই কর্মী নিজেই শরীরের জামা,প্যান্ট ছিঁড়ে ফেলেন। প্রায় উলঙ্গ হয়ে যান তিনি। কিন্তু নীচে নেমে আসার মত অবস্থায় তিনি ছিলেন না। তাঁর শরীরে বেশ কিছু অংশ আগুনে ঝলসে যায়।
আর এরপরই গাফিলতির অভিযোগে স্থানীয়রা ঠিকাদারের সুপারভাইজার দের বেধড়ক মারধর করে। পালিয়ে যান তারা এলাকা ছেড়ে। এরপরে এলাকার মানুষই দূর্ঘটনাগ্রস্ত ব্যক্তিকে ওপর থেকে নামিয়ে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
স্থানীয় এলাকাবাসীদের অভিযোগ, ঠিকঠাক ভাবে বিদ্যুতের লাইন বন্ধ না করেই ঠিকাদারের সুপার ভাইজারদের উপস্থিতিতেই রবিবার পোলে উঠে কাজ করছিলেন কর্মীরা। অভিযোগ, ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গেই বিপদগ্রস্থ কর্মীকে উদ্ধার না করেই এলাকা থেকে চলে যান তারা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ঠিকাদারের গাফিলতির কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। যদিও বিপদগ্রস্থ ঠিকা কর্মীর নাম জানা যায়নি। এমনকি ঠিকাদার সাবির কে ফোন করা হলে তার ফোন বন্ধ থাকায় ঘটনার বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।