বিজ্ঞাপন
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: লকডাউনের মধ্যেই অবৈধ ভাবে নির্মিত একটি বাড়ির বিপজ্জনক অংশ ভাঙ্গাভাঙির কাজ করার সময় বাড়িটির একটি দেওয়াল ভেঙে কর্তব্যরত এক শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল শুত্রুবার দুপুরে। ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান শহরের নতুনপল্লী, কবরস্থান এলাকায়। যদিও দুর্ঘটনা ঘটার পরেও বাড়ি মালিক মধুমিতা দে প্রশাসনকে কিছুই জানায়নি বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। যদিও বর্ধমান থানার পুলিশ ইতিমধ্যে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
মৃত শ্রমিক জয়ন্ত ব্যানার্জির(২৮) আত্মীয় উত্তম কর্মকার জানিয়েছেন, তাঁরা বর্ধমান থানায় এব্যাপারে লিখিত অভিযোগ জানাবেন। তিনি জানিয়েছেন, বেশ কিছুদিন ধরেই নতুনপল্লী এলাকার মৌসুমী ক্লাবের কাছে গলির ভিতর একটি নির্মিয়মান বাড়ির বিপজ্জনক অংশ ভাঙ্গাভাঙি করার কাজ করছিল তাঁর ভাই জয়ন্ত। এদিন দুপুরে হঠাৎই বাড়িটির সামনের একটি বড় অংশ হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে জয়ন্তর মাথার ওপরে। গুরুতর আহত অবস্থায় অপর আরেক শ্রমিক এবং ঠিকাদার আহত শ্রমিক কে নিয়ে একটি টোটো করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আহত শ্রমিক কে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে খোদ বাড়ি মালিক এই ঘটনার পর ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে তার আরেকটি বাড়িতে নিজেকে তালা বন্ধ করে নেন। অনেক ডাকাডাকির পর মধুমিতা দে সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের জানান, তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না। তবে তিনি শুনেছেন তারই নিয়োজিত ঠিকাদার দুজন শ্রমিক কে নিয়ে বাড়ির ভাঙা অংশ থেকে কিছু সামগ্রী বের করার কাজ করছিলেন। তখনই একটি অংশ ভেঙে পড়ে একজন শ্রমিক আহত হয়েছেন। তাকে বর্ধমান মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। যদিও মধুমিতা দে স্বীকার করেছেন এই ঘটনার বিষয়ে তিনি প্রশাসন কে কিছুই জানান নি। পাশাপাশি এই কাজ করার জন্য প্রশাসনিক কোনো অনুমতিও তিনি নেননি।
এলাকাবাসীদের অভিযোগ, যে বাড়িটিতে ভাঙ্গাভাঙ্গির কাজ চলছিল সেটি অবৈধ ভাবে নির্মিত। এমনকি পর্যাপ্ত সাবধানতা অবলম্বন না করেই গোপনে এই লকডাউন ভেঙে এই ভাঙার কাজ করা হচ্ছিল। তাঁদের অনেকে জানিয়েছেন, ভেঙে পরা অংশ মূল রাস্তার ওপর পরে থাকায় এলাকার মানুষের যাতায়াতের সমস্যা তৈরি হয়েছে।