---Advertisement---

বর্ধমানে বেশি সংখ্যায় করোনা পরীক্ষার জন্য চালু হল পুলিং অফ স্যাম্পলিং পদ্ধতি

Souris Dey

Published

বিজ্ঞাপন
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: বাইরের রাজ্যে আটকে পরা পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর প্রক্রিয়া চলছে। রোজই প্রচুর শ্রমিক সরকারি উদ্যোগে ট্রেনে ও বাসে ফিরে আসছেন পূর্ব বর্ধমান জেলায়। এরপর তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে ফেরানো হচ্ছে নিজেদের বাড়িতে। অধিক সংখ্যায় এই শ্রমিকদের করোনা নমুনা পরীক্ষা করতে সময় লেগে যাচ্ছিল। তবে এবার সেই সমস্যা থেকে বেরিয়ে এসে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন শুরু করলো ‘পুলিং অফ স্যাম্পলিং’ পদ্ধতি। 
এই পদ্ধতিতে একসঙ্গে পাঁচজনের নমুনা পরীক্ষা করা যাবে। নেগেটিভ রিপোর্ট এলে একসঙ্গে পাঁচজনই নিশ্চিত হবেন তারা আক্রান্ত নন। আর পজিটিভ এলে তখন পৃথকভাবে পাঁচজনের আবার করোনা পরীক্ষা করানো হবে। এর ফলে কম সময়ে অনেক মানুষের করোনা পরীক্ষা করানো যাবে বলে মনে করছে স্বাস্থ্য দফতর। এই বাবদ খরচও অনেক কমে যাবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা। 
পূর্ব বর্ধমানে অতিরিক্ত জেলা শাসক (উন্নয়ন) রজত নন্দা জানান, পুলিং অফ স্যাম্পলিং পদ্ধতিতে করোনা পরীক্ষা করানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই মুহূর্তে পজিটিভ রিপোর্ট প্রায় নেই। অন্যদিকে, এই নতুন পদ্ধতিতে পরীক্ষা শুরু হওয়ার ফলে অনেক কম সময়ে বেশি জনের পরীক্ষা করানো সম্ভব হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, সরকারি উদ্যোগে এ পর্যন্ত জেলায় প্রায় ৮০০ জন ঘরে ফিরেছেন। 
তিনি জানিয়েছেন, ১০ মে পর্যন্ত হিসেবে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বাসে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা থেকে ৬৬ জন, দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে ৯৮ জন,  পুরুলিয়া থেকে ৩৫ জন ফিরেছেন। এছাড়া আরও অনেক জেলা থেকে প্রতিদিনই পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরেছেন। পাশাপাশি, বিহার, ওড়িশা, রাজস্থান, বেঙ্গালুরু থেকে কয়েকশো পরিযায়ী শ্রমিক, পর্যটক, চিকিৎসা করাতে যাওয়া মানুজন এই জেলায় ফিরেছেন। 
অতিরিক্ত জেলা শাসক জানান, ফিরে আসা শ্রমিকদের প্রথমেই স্বাস্থ্য দফতরের তরফে প্রত্যেকের স্ক্রিনিং করা হচ্ছে। করোনা লক্ষ্মণযুক্ত হলে তাঁদের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর লক্ষ্মণযুক্ত না হলে তাদের নিজেদের বাড়িতেই হোম কোয়ারেন্টাইন করা হচ্ছে।
See also  করোনার অন্ধকারে প্রদীপের আলো সেই লক্ষ্মীর ভাঁড়, অসময়ের ভরসা
শেয়ার করুন 🤝🏻

Join WhatsApp

Join Now
---Advertisement---