ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: বড়দিন মানেই কেক আর সান্তাক্লজ। কিন্তু প্রশ্ন এটাই যে যীশুর জন্মদিনকে আনন্দে ভরিয়ে দিতে ঈশ্বরের দূত হিসাবে মর্ত্যে নেমে আসা কল্পনার সান্তাক্লজ কি কেবল মানুষের জন্যই? ঈশ্বরের সৃষ্ট অন্যান্য জীবের জন্য নয়? – মূলত এই চিন্তা থেকেই বড়দিনের মধ্যরাত থেকেই অভিনব উদ্যোগ নিল বর্ধমানের পশুপ্রেমী সংস্থা ভয়েস ফর দ্যা ভয়েসলেস।
বিজ্ঞাপন
বড়দিনকে সামনে রেখে যখন গোটা বিশ্বজুড়েই চলছে উৎসবের নানান অনুষ্ঠান এমনকি করোনার মত মহামারীকেও ভয় না পেয়ে চলছে জমিয়ে পিকনিক, পার্টি। সেই সময় পথ কুকুর আর অভিভাবকহীন অন্যান্য পথ পশুদের মধ্যেও সান্তাক্লজের আশীর্বাদ পৌঁছে দিতে এগিয়ে এল এই সংস্থা।
সংস্থার সম্পাদক অভিজিত মুখার্জ্জী জানিয়েছেন, ২৪ ডিসেম্বর রাত থেকেই তাঁরা বর্ধমান শহরের সমস্ত ওয়ার্ড ঘুরেছেন। যেখানেই পথ পশুদের দেখেছেন সেখানেই তাঁরা খাবার দিয়েছেন তাদের। দিয়েছেন প্রবল ঠাণ্ডার হাত থেকে রক্ষা করতে চট। কাউকে কাউকে পড়িয়ে দিয়েছেন জামাও। কিন্তু অনেককেই আবার সেটা করা যায়নি। কেউ কেউ দুষ্টুমি করেই জামা না পড়ে পালিয়েছে। অভিজিতবাবু জানিয়েছেন, প্রতিবছরই তাঁরা ২৫ ডিসেম্বরের দিনটিকে এভাবেই পশুদের সঙ্গে পালন করেন। তাদের খাবার দেওয়া হয়।
তবে এবারে তারই মধ্যে কিছুটা ব্যতিক্রম আনা হয়েছে – তাঁদের সদস্য যাঁরা এদিন রাত থেকে দিনভর বিশেষ করে পথ কুকুরদের খাবার, চট আর তাদের জামা পড়িয়ে দিয়েছেন তাঁরা সকলেই ছিলেন সান্তাক্লজের বেশে। যা দেখে রাতের অন্ধকারে প্রহরায় নিযুক্ত থাকা সারমেয়রা চিৎকার চেঁচামেচি করলেও যখন তাদের আদর করে খাওয়ানো হয়েছে, দেওয়া হয়েছে শোওয়ার জন্য চট আর পড়িয়ে দেওয়া হয়েছে জামা – তখন তারা সত্যিই আরাম পেয়েছে। হয়তো এই অবলাদেরও মনে হয়েছে ভগবানের দূত তাদের কষ্ট লাঘব করতে মর্ত্যে নেমে এসেছে।