বর্ধমানে ভোটের জন্য ৮দিনে ৪দিন বন্ধ মদের দোকান, ফের কালোবাজারির আশঙ্কা

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: আগামী ১৭ এপ্রিল পূর্ব বর্ধমান জেলায় পঞ্চম দফার এবং ২২ এপ্রিল ষষ্ঠ দফার ভোট অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। আর ভোটকে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে একদিকে যেমন চলছে ফি বছরের মতই নাকা চেকিং, টহলদারী, গ্রেপ্তারী তেমনি জারী করে দেওয়া হল মদ বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞাও। জেলা আবগারী দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর থেকে শুক্রবার পর্যন্ত জেলায় মোট ৭৪জনকে অবৈধ মদ বিক্রির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একইসঙ্গে আগামী ১৭ এপ্রিল ভোটের জন্য ১৫ এপ্রিল সন্ধ্যে ৬টা থেকে ১৭ এপ্রিল সন্ধ্যে ৬টা পর্যন্ত সমস্ত মদ বিক্রি নিষিদ্ধ করা হল। পাশাপাশি ২২ এপ্রিল ভোটের জন্য ২০ এপ্রিল সন্ধ্যে থেকে ৬টা থেকে ২২ এপ্রিল সন্ধ্যে ৬টা পর্যন্ত সমস্ত মদ বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। 

জেলা আবগারী দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২ মে ভোট গণনার দিন জেলাজুড়ে পুরোপুরি মদ বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। উল্লেখ্য ২৬ ফেব্রুয়ারী ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশিত হয়। তারপর থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ১৬ হাজার ৬০০ লিটার আইবি লিকার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এফওয়াশ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ১ লক্ষ ৪২ হাজার ৪০০ লিটার এবং আইএমএফএল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৮০০ লিটার। বিয়ার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৪০০ লিটার। গ্রেপ্তার করা হয়েছে মোট ৭৪জনকে। আবগারী দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ভোট গণনা পর্যন্ত এই ব্যাপক হানাদারী চলতেই থাকবে।
এদিকে আগামী ১৫এপ্রিল থেকে ২২এপ্রিল পর্যন্ত ৮দিনের মধ্যে ৪ দিন মদের দোকান, বার বন্ধ থাকার নোটিস জারি হওয়ার পরই ফের মদ নিয়ে কালোবাজারি শুরু হওয়ার আশংকা তৈরি হয়েছে। উল্লেখ্য লকডাউনের সময় মদের দোকান টানা বন্ধ থাকায় বর্ধমান শহর সহ জেলার বিভিন্ন জায়গায় মদের চাহিদা তুঙ্গে উঠেছিল। অবৈধভাবে মদ বিক্রির অভিযোগ সামনে এসেছিল। পুলিশি অভিযানে প্রচুর মদ বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। এমনকি অবৈধভাবে মদ বিক্রির অভিযোগে একাধিক মদের দোকান মালিক গ্রেফতার হয়েছিল। ফলে ফের ভোটের কারণে দুদফায় ৪দিন মদের দোকান বন্ধের নির্দেশ থাকায় জেলাজুড়ে মদের কালোবাজারি বাড়তে পারে বলে অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।