---Advertisement---

বর্ধমানে ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত, বিজেপি তৃণমূল সংঘর্ষে তীব্র উত্তেজনা

Souris Dey

Published

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত বর্ধমানে। রবিবার দুপুরে তৃণমূল বিজেপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিলো বর্ধমান শহরের ৩নং ওয়ার্ডের লক্ষীপুর মাঠ রেল লাইন ধার সংলগ্ন এলাকা। সংঘর্ষের ঘটনায় প্রদীপ হাজরা নামে এক তৃননুল কর্মীর মাথা ফেটে গিয়েছে। অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত কর্মী সমর্থকরা ওই তৃণমূল কর্মীকে একা পেয়ে ঘিরে ধরে বাঁশ, লাঠি দিয়ে ব্যাপক মারধর করে। ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় ছুটে আসেন বর্ধমান থানার আইসির নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী। 

বিজ্ঞাপন

ঘটনার সূত্রপাত গতকাল ভোটচলাকালীন রসিকপুর মসজিদ তলার পাশে একটি বুথে বিজেপির এক কর্মীকে মারধোর করা কে কেন্দ্র করে। বিজেপির অভিযোগ তাদের বুথ এজেন্টকে খাবার দিতে গিয়েছিলেন সিদ্ধার্থ রায় নামে এক কর্মী। কিন্তু তৃণমূলের গুন্ডারা তাকে ব্যাপক মারধর করে ড্রেনে ফেলে দেয়। জানা গেছে সিদ্ধার্থ রায়ের বাড়ি লক্ষীপুর মাঠের রানা প্রতাপ ক্লাবের কাছে। এমনকি যারা এই কর্মীকে মারধরে অভিযুক্ত তাদের কয়েকজনের বাড়িও এই এলাকায়। আর এরপর ভোট শেষ হতেই বিজেপি কর্মীকে মারধরের বদলা নিতে শুরু হয় হামলা। 

এলাকার একটি দোতলা ক্লাব ঘরে ব্যাপক ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ ওঠে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এমনকি এলাকার বেশ কয়েকটি তৃণমূল সমর্থকের বাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয় বলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। রবিবার সকালে ফের বিজেপির পতাকা নিয়ে একদল যুবক এলাকায় দাপিয়ে যায়। আর এরপর এদিন দুপুরে এলাকায় বিজেপির তান্ডবের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আসেন বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থী খোকন দাস। তাঁর সঙ্গে এলাকায় ঢোকে প্রায় শতাধিক তৃণমূল কর্মী সমর্থক। আর এরপরেই নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। 

উত্তেজিত কিছু তৃণমূলের কর্মী বিজেপির সমর্থকদের এলাকায় গিয়ে দলীয় পতাকা ছিঁড়ে দেয়। অভিযোগ মহিলাদের চুলের মুঠি ধরে টানাটানি করে। কয়েকটি দোকান এবং বাড়ির ওপরে থাকা ছাউনি লাঠির ঘায়ে ভেঙে দেয়। যদিও এরপর খোকন দাস সহ অন্যান্য নেতা ও কর্মী সমর্থকরা এলাকা থেকে বেরিয়ে আসলেও তৃণমূল কর্মী প্রদীপ হাজরা ওই এলাকায় একা পরে যায়। সেইসময় স্থানীয় মহিলা ও কিছু যুবকের সঙ্গে তার বচসা হয়। আর এরপরেই প্রদীপ কে ঘিরে ধরে বেধড়ক মারধর করে এলাকাবাসী। লাঠির ঘায়ে মাথা ফেটে যায় তার। কোনরকমে ছুটে পালিয়ে প্রাণে বাঁচে সে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তার মাথায় ১৬টি সেলাই দিয়েছে চিকিৎসক। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ।
See also  স্বাধীনতা দিবসের আগেই বর্ধমান ষ্টেশনে ফের উড়তে শুরু করলো সুউচ্চ জাতীয় পতাকা
শেয়ার করুন 🤝🏻

Join WhatsApp

Join Now
---Advertisement---