তাঁর সেই আবেদন অনুযায়ী দ্বিতীয় ডোজের জন্য তাঁকে ৩ জুলাই মেমারী ১নং ব্লকের দুর্গাপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে বলা হয়। কিন্তু তিনি সুগারের রোগী হওয়ায় চিকিৎসক তাঁর সমস্ত চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। স্বাভাবিকভাবেই তিনি দ্বিতীয় ডোজের জন্য নির্দিষ্ট দিনে দুর্গাপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে হাজির হতে পারেননি। নেওয়া হয়নি দ্বিতীয় ডোজ। অথচ ওইদিনই বিকালে তিনি একটি সার্টিফিকেট পান, যেখানে বলা হয় তিনি ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন। টিকা দিয়েছেন চম্পা কোনার নামে স্বাস্থ্যকর্মী।
আর এই ফাইনাল সাটিফিকেট পাবার পরই সুগারের রোগী উত্তম সাহার দুশ্চিন্তা বেড়ে যায়। এরপরই তিনি সোমবার আসেন জেলাশাসকের কাছে এব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করার জন্য। উত্তমবাবু জানিয়েছেন, জেলাশাসক তাঁর অভিযোগ খতিয়ে দেখার পর জানান, এব্যাপারে তিনি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্যাধিকারিককে জানিয়েছেন যথাযত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য। তিনি যেন মুখ্য স্বাস্থ্যাধিকারিকের কাছে চলে যান। তাঁর ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা হয়ে যাবে। উত্তমবাবু জানিয়েছেন, তাঁর লিখিত অভিযোগ আর জমা নেননি জেলাশাসক। এরপরই তিনি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্যাধিকারিকের দপ্তরের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন সেই সময় ফের তাঁকে জেলাশাসকের অফিস থেকে ফোনে জানানো হয়, মুখ্য স্বাস্থ্যাধিকারিকের কাছে তাঁর যাবার প্রয়োজন নেই।
এব্যাপারে জেলা প্রশাসন যা ব্যবস্থা নেবার নিচ্ছে। প্রয়োজনে মেমারীর ১-এর দুর্গাপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরবর্তী টিকাকরণের দিন তাঁকে সরকারীভাবে গাড়ি দিয়ে নিয়ে গিয়ে টিকাকরণের ব্যবস্থা করা হবে। উত্তমবাবু জানিয়েছেন, প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছেন ঠিকই, কিন্তু তাঁর দ্বিতীয় ডোজের সময়সীমাও শেষ হয়ে যেতে চলেছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই কবে তিনি দ্বিতীয় ডোজ পাবেন তা নিয়ে তাঁর চিন্তা শেষ হচ্ছে না। এব্যাপারে জেলাশাসক প্রিয়াংকা সিংলা জানিয়েছেন, এই ধরণের একটি অভিযোগ এই প্রথম এসেছে তাঁদের কাছে। গোটা বিষয়টি তিনি মুখ্য স্বাস্থাধিকারিককে জানিয়েছেন।
জেলাশাসক জানিয়েছেন, সম্ভবত, সফটওয়্যারের কোনো ত্রুটির জন্যই এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে ওই ব্যক্তির দ্বিতীয় ডোজের ব্যবস্থা ছাড়াও তাঁর সার্টিফিকেট সংশোধন করার সুযোগ তাঁদের কাছে রয়েছে। তাঁরা সেই ব্যবস্থা করবেন। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, তাঁকে মুখ্য স্বাস্থ্যাধিকারিক জানিয়েছেন, এই ধরণের কিছু ঘটনা ঘটছে। তাই এব্যাপারে তাঁরা রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যদপ্তরকে গোটা বিষয়টি জানাবেন।