বর্ধমানে মহিলার মৃত্যুর পর দীর্ঘক্ষণ পড়ে রইল মৃতদেহ, মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধন্দ, আতঙ্ক

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন ব্যক্তির মৃত্যুর পর বেশকিছু ক্ষেত্রে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসছে পূর্ব বর্ধমান জেলায়। আর মৃত্যুর পর মৃতের বাসস্থানের এলাকার
মানুষের সহ পরিবারের লোকেদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হচ্ছে। বর্ধমান শহরের বড়নীলপুর শক্তিপাড়া এলাকার বাসিন্দা রীনা বসাক (৪৫) নিজের বাড়িতেই শনিবার ভোরে মারা গেলেও তাঁর দেহ উদ্ধার করতে দুপুর গড়িয়ে গেল। চুড়ান্ত এই অমানবিক ঘটনার সাক্ষী হলেন এলাকার বাসিন্দারা।
ওই মহিলারমৃত্যুর খবর পেয়েই দফায় দফায় থানা, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃত্ব থেকে খোদ সরকারী প্রচারের হেল্পলাইন ফোন নাম্বারে ফোন করেও কোনো সাড়া মেলেনি বলে অভিযোগ। কার্যতই দুপুরের দিকে এই খবর সংবাদ মাধ্যমের কাছে আসার পরই নড়াচড়া শুরু হয়। আর তারপরই দুপুর প্রায় সাড়ে বারোটা নাগাদ ওই মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ।
যদিও এই ঘটনায় গোটা এলাকায় রীতিমত সন্দেহ এবং আতংক দানা বেঁধেছে। এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন রীণাদেবী। তাঁর অসুস্থতা বাড়ায় তাঁকে সম্প্রতি শক্তিপাড়ায় তাঁর বাপের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। শনিবার ভোর রাত প্রায় আড়াইটে নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। কিন্তু কি কারণে তাঁর মৃত্যু তা নিয়ে গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। এলাকার বাসিন্দারা চেয়েছিলেন স্বাভাবিক কারণে বা অন্য কোনো অসুস্থতার কারণেই মৃত্যু নাকি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু – তা সুনিশ্চিত হতে। আর তাই এলাকার বাসিন্দারা বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছেন সম্ভাব্য সমস্ত জায়গায়। যাতে রীণা বসাকের করোনা পরীক্ষা করানো যায়।
এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এই সময়ে মৃত্যুর পর এই পরীক্ষা অত্যন্ত জরুরী। চতুর্দিকে যেভাবে করোনার প্রকোপ বাড়ছে তাই স্বাভাবিকভাবেই এই এলাকার বাসিন্দারাও নিশ্চিত হতে চেয়েছিলেন। তাতে তাঁরা নিঃসন্দেহ হতে পারতেন। কিন্তু বাস্তবে তাঁরা তা দেখতে পেলেন না। বারবার পুলিশকে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি। এদিকে, জানা গেছে, দুপুরে স্থানীয় কয়েকজনের উদ্যোগে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে গিয়ে নির্মল ঝিল শ্মশানেই তাঁর সৎকার করা হয়। আর এরপরেই এলাকার বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে ফের জোড়ালো দাবী উঠেছে রীণা বসাকের গোটা পরিবারের করোনা টেষ্ট করানোর জন্য।

Recent Posts