বর্ধমানে মুখ্যমন্ত্রীর ছবির ওপর দাদার অনুগামী বলে শুভেন্দু অধিকারীর পোস্টার, ব্যাপক শোরগোল

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: আমরা দাদার অনুগামী পোষ্টারকে ঘিরে এবার চুড়ান্ত সরগরম হয়ে উঠল বর্ধমান। শনিবার সকাল থেকেই শুভেন্দু অধিকারীর ছবি সম্বলিত পোস্টার বর্ধমান শহর এবং জিটিরোডের ডিভাইডারে একাধিক জায়গায় দেখতে পাওয়া যাওয়ায় ব্যাপক বিতর্ক দানা বেঁধেছে। শুধু তাইই নয়, এই বিতর্ক আরও তুঙ্গে উঠেছে খোদ মুখ্যমন্ত্রীর ছবির ওপর এই পোষ্টার মারাকে কেন্দ্র করে। 

এদিন জিটিরোডের ডিভাইডারে দেখতে পাওয়া গেছে মুখ্যমন্ত্রীর ছবির ফ্লেক্সেই লাগানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ ঢেকে এই পোষ্টার। তৃণমূলের এই ফ্লেক্সটি লাগানো হয়েছিল তৃণমূল যুব কংগ্রেসের জেলা সভাপতি রাসবিহারী হালদারের সৌজন্যে। আর সেই ফ্লেক্সকে ঢেকে এদিন সকালে দেখা গেল শুভেন্দুর ছবি দিয়ে লেখা হয়েছে মানুষের কাজ করতে কোনো পদ লাগে না। আমরা দাদার অনুগামী। আর এরপরেই ব্যাপক শোরগোল শুরু হয়েছে। শুধু তাইই নয়, এদিন সকাল থেকেই বর্ধমান শহরের বীরহাটা, পারবীরহাটা, শাঁখারীপুকুর, বড়নীলপুর মোড় প্রভৃতি এলাকার পাশাপাশি টাউন হল গেটের পাশেও এই একই পোষ্টার দেখতে পাওয়া যায়।

 যদিও এদিন এই পোষ্টার সম্পর্কে পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান মমতাজ সংঘমিতা জানিয়েছেন, কারা দাদার অনুগামী এটাই তো পরিষ্কার নয়। যারা এই ভূয়ো পোষ্টার দিচ্ছেন তাদের উচিত কারা দাদার অনুগামী তা প্রকাশ্যে জানানো। নাহলে এসম্পর্কে কোনো কিছু বলা যায় না। এমনকি পোষ্টারে যা লেখা হয়েছে মানুষের কাজ করতে কোনো পদ লাগে না – তাও পরিষ্কার নয়। মানুষের কাজ তো ঝি-রাও করে। তাদের কোনো পদের দরকার হয় না। কিন্তু সংগঠিতভাবে মানুষের উন্নয়নমূলক কাজ করতে পদের দরকার হয় বলেই তো সরকারী সিস্টেমে সাংসদ, বিধায়ক প্রভৃতি পদ দেওয়া হয়। অন্যদিকে, এদিন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের জেলা সভাপতি রাসবিহারী হালদার জানিয়েছেন, বিজেপি কোনো এজেন্সিকে দিয়ে এই সমস্ত কাজ করাচ্ছে। 

তিনি জানিয়েছেন, আসলে বিজেপির কোনো অস্তিত্বই নেই পূর্ব বর্ধমান জেলায়। প্রতি বুথে একজন করে লোক দাঁড় করানোর ক্ষমতা নেই বিজেপির। তাই মানুষকে বিভ্রান্ত করতেই এজেন্সীকে দিয়ে এসব পোষ্টার লাগানো হচ্ছে। যদিও তা নিয়ে তৃণমূল মোটেই ভাবিত বা চিন্তিত নয়। অন্যদিকে, বিজেপির যুবমোর্চার জেলা সভাপতি শুভম নিয়োগী জানিয়েছেন, বিজেপি একটি আদর্শে চলে। যে আদর্শে কোনো দাদা, দিদির অনুগামী নেই। বিজেপি বিশ্বাস করে আগে দেশ তারপর দল। সেখানে কোনো দাদার অনুগামী বা দিদির অনুগামী নেই। তিনি দাবী করেছেন, এই পোষ্টার তৃণমূলের অন্তর্কলহের ফসল। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এখনও চরমে। কাটমানি আর তোলাবাজির ভাগ নিয়ে নিজেরাই লড়াই করছে। তারাই এই সমস্ত পোষ্টার লাগাচ্ছে।