বর্ধমানে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখাই করলেন না সর্বোচ্চ স্তরের কোন আধিকারিক

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: প্রোটোকল মেনে পূর্ব বর্ধমান জেলার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার বা বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কেউই এলেন না রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে। পরিবর্তে ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার কয়েকজন অফিসার এবং সদর মহকুমা শাসক রাজ্যপালকে স্বাগত জানাতে হাজির ছিলেন। যাকে ঘিরে নিজের ক্ষোভের কথা চেপে রাখলেন না পশ্চিমবাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। 

বিজ্ঞাপন

সোমবার কলকাতা থেকে সড়কপথে বর্ধমানে আসেন সস্ত্রীক রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এদিন বর্ধমানের ১০৮ শিব মন্দির এবং সর্বমঙ্গলা মন্দিরে পুজো দেবার পর সার্কিট হাউসে চলে যান। সার্কিট হাউসে হাজির ছিলেন জেলা প্রশাসন ও পুলিশের ওই অফিসাররা। 

এদিন প্রোটোকল মেনে প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তরের আধিকারিকরা হাজির না থাকা নিয়ে রাজ্যপাল বলেন, হয়ত ওপরতলার নির্দেশ আসেনি তাঁদের কাছে। কিন্তু জগদীপ ধনকড় নয়, রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসাবে এই প্রোটোকল দেওয়া আবশ্যক। কাকে অপমান করছেন? প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি এদিন বলেন, ২০১৯সালের ১৯ জুলাই যখন তিনি বর্ধমান আসেন তখন বর্ধমানের জেলাশাসক বিজয় ভারতী তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। তাঁকে বর্ধমানের ইতিহাসপ্রসিদ্ধ সীতাভোগ ও মিহিদানা দুরকম মিষ্টি খাওয়ান। তিনি অভিভূত হন। রাজ্যপাল জানিয়েছেন, সেইসময় বর্ধমান নিয়ে অনেক আলোচনাও হয় তাঁর সঙ্গে বিজয় ভারতীর। হয়ত বিজয় ভারতীর কাছে ওপরতলার নির্দেশ আসেনি বলেই তিনি আসতে পেরেছিলেন। 

রাজ্যপাল এদিন জানিয়ে যান, ২০২০ সালে সাধারণ মানুষকে অনেক পরীক্ষা দিতে হয়েছে। ২০২১ সাল ভারতবর্ষের নতুন দিশা আত্মনির্ভর ভারত। বাংলার সমস্ত মানুষ যেন ভাল থাকে, প্রজাতন্ত্র যথার্থভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় – বাংলার ৯ কোটি মানুষের মধ্যে তিনিও একজন সদস্য হিসাবে বর্ধমানের ১০৮ শিব মন্দির, সর্বমঙ্গলা মন্দিরে এই কামনা করেছেন। এমনকি আসন্ন নির্বাচনেও বাংলায় যেন হিংসামুক্ত, স্বচ্ছ নির্বাচন, স্বাধীনভাবে মানুষ তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন সেই কামনাও জানিয়েছেন।

আরো পড়ুন