বর্ধমানে লকডাউন অব্যাহত, চলছে কড়া পুলিশী নজরদারি, আতংকে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: কোথায় কোন ব্যক্তি
বাইরে থেকে এসে বাড়িতে রয়েছেন, কিংবা কারা কারা এলাকায় এলাকায় আসা যাওয়া করছেন – কার্যত এসব কিছুর ওপরই চলছে পুলিশের কড়া নজরদারী। বাজারে কালোবাজারীর মজুদ থেকে জায়গায় জায়গায় বসে আড্ডা মারতে দেখলেই পুলিশ সেখানে হাজির হচ্ছেন। এরই সঙ্গে রয়েছে রাতেও গ্রামে গ্রামে পুলিশের টহলদারী। চলতি করোনা ভাইরাসের জেরে গোটা পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়েই রীতিমত পুলিশের এই
তৎপরতায় খুশী সাধারণ মানুষও।
যদিও পূর্ব বর্ধমান জেলায় এখনও কোনো পজিটিভ করোনা ভাইরাসের খবর মেলেনি। কিন্তু তারই মাঝে হাসাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ড থেকে বুধবার দুজনকে কলকাতায় পাঠানো হয়েছে। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে একজন ও কাটোয়া মহকুমা হাসপাতাল থেকে একজনকে কলকাতায় পাঠানো হয়েছে।
অপরদিকে, বর্ধমান রেল স্টেশন, উল্লাস ও নবাবহাট বাসস্ট্যান্ড, কালনা ও কাটোয়ায় থার্মাল স্ক্রিনিং করা অব্যাহত রয়েছে। সেখানে সন্দেহজনকদের নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর নেওয়া হচ্ছে। শরীরের তাপমাত্রা বেশি থাকলে তাদের হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। গত চব্বিশ ঘণ্টায় পূর্ব বর্ধমান জেলায় করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। বেড়েছে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা পুরুষ মহিলার সংখ্যাও।
মঙ্গলবার পর্যন্ত সরকারি হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ছিলেন ১৫ জন। সেই সংখ্যাটা বেড়ে হয়েছে ১৯ জন। এরমধ্যে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিশেষ আইসোলেশন ওয়ার্ডে রয়েছেন পাঁচ জন। কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রয়েছেন ১১ জন ও কালনা মহকুমা হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রয়েছেন দুজন। কাটোয়ায় বুধবার নতুন করে চারজন এসেছেন। একজনকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।
কালনা মহকুমা হাসপাতালে ছিলেন এক জন। নতুন করে কালনায় এসেছেন তিনজন। একজনকে হোম কোয়ারান্টিনে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত এই জেলায় হোম কোয়ারেন্টিনে ছিলেন ২০ হাজার ৮৫৩। সেই সংখ্যাটা বেড়ে হয়েছে ২৪ হাজার ৯২৬ জন। বিদেশ থেকে এসে হোম কোয়ারান্টিনে রয়েছেন ১৮৯জন। এর বাইরে ২৪ জন হোম কোয়ারান্টিনের মেয়াদ পূর্ণ করেছেন।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বর্ধমান শহরের প্রায় প্রতিটি এলাকাতেই বিদেশ বা বাইরের রাজ্য থেকে এসেছেন অনেকেই। তারা যাতে হোম কোয়ারান্টিন উপেক্ষা করে বাইরে বেরিয়ে পড়তে না পারেন সে ব্যাপারে নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। নিজের ও পরিবারের সকলের স্বার্থেই চোদ্দ দিন হোম কোয়ারান্টিন জরুরি। বাইরে থেকে আসা অনেকেই এদিন বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে যান। তাদের বেশির ভাগকেই হোম কোয়ারান্টিনে থাকার নির্দেশ দেন চিকিৎসকরা।

Recent Posts