বর্ধমান শহরের পুলিশ লাইন এলাকায় কিশলয় নামে একটি বেসরকারী নার্সিংহোমের মালিক চিকিৎসক আসরাফুল মীর্জা অভিযোগ করেছেন, গত মার্চ মাস থেকে তিনি বর্ধমান পুরসভায় তাঁর ট্রেড লাইসেন্স রিনিউ করার জন্য দরবার করছেন। তিনি জানিয়েছেন, ট্রেড লাইসেন্স রিনিউ না হলে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে তিনি প্রয়োজনীয় সি ই লাইসেন্স পাবেন না। তিনি অভিযোগ করেছেন, পুরসভার ট্রেড লাইসেন্স বিভাগের এক আধিকারিক তাঁকে জানিয়েছেন, ৫০ হাজার টাকা দিলে তবেই তিনি ট্রেড লাইসেন্স রিনিউ করে দেবেন। কারণ নার্সিংহোম চালিয়ে তিনি প্রচুর টাকা কামাচ্ছেন – এমনটাই জানিয়েছেন ট্রেড লাইসেন্সের ওই আধিকারিক।
শিশু বিশেষজ্ঞ আসরাফুল মীর্জা জানিয়েছেন, তিনি ওই টাকা দিতে রাজী না হওয়ায় তাঁকে নানান অজুহাতে মার্চ মাস থেকে ঘোরানো হচ্ছে। ফলে তিনি লাইসেন্স না পেলে তাঁর নার্সিংহোম চালাতে পারবেন না। তিনি জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে এই নার্সিংহোমে কোভিড আক্রান্ত ১০টি শিশু চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে ২জন আইসিসিইউতে রয়েছে। এমতবস্থায় নার্সিংহোম বন্ধ করা হলে রোগীদের কি হবে – তা নিয়েই তিনি চিন্তিত। তিনি জানিয়েছেন, পুরসভার লাইসেন্স বিভাগের ওই আধিকারিকের ঘুষ চাওয়ার পর তিনি এব্যাপারে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সহ রাজ্যের বিভিন্ন দপ্তর এবং জেলা প্রশাসনের কাছেও লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।
করোনা সংক্রমণের এই সময় যখন চিকিৎসকরা জীবন বাজি রেখে লড়াই করছেন সেই সময় এই ঘুষ চাওযার বিষয়টি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। এদিকে, এই অভিযোগ সম্পর্কে বর্ধমান পুরসভার প্রশাসক তথা বর্ধমান সদর উত্তর মহকুমা শাসক দীপ্তার্ক বসু জানিয়েছেন, তাঁরা একটি অভিযোগ পেয়েছেন। অভিযোগের যথাযথ তদন্ত করা হবে। তবে এখনও পর্যন্ত ওই চিকিৎসকের লাইসেন্স রিনিউ সংক্রান্ত কোনো আবেদন পুরসভায় পাওয়া যায়নি বলে তিনি জেনেছেন।