ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে পূর্ব বর্ধমান জেলায় মদের হোম ডেলিভারী শুরু হতে চলেছে বলে জানিয়ে দিলেন জেলাশাসক বিজয় ভারতী। সোমবার সাংবাদিকদের জেলাশাসক জানান, মদের দোকান থেকে কোনো মদ খদ্দের কে বিক্রি করা যাবে না। যদি কোনো বৈধ মদ বিক্রেতার বিরুদ্ধে এই ধরণের অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে সেই বিক্রেতার বিরুদ্ধে এবং তাঁর দোকানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তবে আগামী দুদিনের মধ্যে অন লাইনে বুকিং এর মাধ্যমে দোকানদার গ্রাহকের ঠিকানায় মদ পৌঁছে দিতে পারবেন। এব্যাপারে জেলা প্রশাসন, পুলিশ এবং আবগারি দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করে নির্দিষ্ট নিয়মাবলী মদ বিক্রেতাদের জানিয়ে দেওয়া হবে। আর তারপরই মদ বিক্রি করতে পারবেন বৈধ মদ বিক্রেতারা। যদিও অন লাইনে কোন কোন দোকানদার বুকিং নিতে পারবেন তার তালিকা এখনো তৈরি হয়নি বলেই প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। জেলাশাসক জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি জেলায় মদের হোম ডেলিভারী শুরু হয়েছে। এই জেলায় এই প্রক্রিয়া শুরু করার বিষয়ে আলোচনা চলছে।
উল্লেখ্য, দেশ জুড়ে করোনা পরিস্থিতি ঘোরালো হচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ যাতে না বাড়ে তার জন্য লকডাউনের সময়সীমা ইতিমধ্যেই বৃদ্ধি করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়ে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়েছে। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে লকডাউন অমান্য করার প্রবণতা ততই বাড়ছে সাধারণ মানুষের। তুচ্ছ কারণে মানুষ বেরিয়ে পড়ছেন রাস্তায়।
এরই মধ্যে সোমবার সকালে হটাৎই বর্ধমানের তিনকনিয়া জি টি রোড এলাকায় একটি বৈধ মদের দোকান থেকে মদ বিক্রির খবরে হৈ চৈ পড়ে যায় শহর জুড়ে। শহর ছাড়িয়ে বাইরের খদ্দেররাও ভিড় করতে শুরু করেন মদের খোঁজে। ঘটনার খবর পেয়ে বর্ধমান থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। বেশ কয়েকজন মদ সংগ্রহকারীকে আটক করলেও মদের দোকানদারের হদিস পাচ্ছিলেন না। দীর্ঘক্ষণ পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে দুপুরের দিকে আটক করে মালিক সহ দুই কর্মচারীকে।
এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, কর্তব্যেরত পুলিশ কর্মীদের হেনস্থা ও ধাক্কাধাক্কি করেছেন দোকান মালিক সহ অন্যান্য কর্মচারীরা। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন দুজন সিভিক পুলিশ। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।