বর্ধমানে শ্মশানের জায়গাকে বিক্রির করে দেবার অভিযোগ, তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যকে ব্যাপক মার, উত্তেজনা

Souris  Dey

Souris Dey

বিজ্ঞাপন
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: দীর্ঘদিন ধরে ব্যক্তিগত একটা জায়গাকেই শ্মশান হিসাবে ব্যবহার করার পর আচমকাই সেই শ্মশানকে বন্ধ করে দেবার ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ালো বর্ধমানের সরাইটিকর অঞ্চলে। শ্মশান বন্ধ করার অভিযোগে মঙ্গলবার দুপুরে সরাইটিকর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভও দেখালেন গ্রামবাসীরা। এরই পাশাপাশি উত্তেজিত গ্রামবাসীরা সংশ্লিষ্ট এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য সেখ জামালকে ব্যাপক মারধরও করেন বলে অভিযোগ। শ্মশানকে বন্ধ করে দেবার অভিযোগ তুলে এদিন গ্রামবাসীরা বর্ধমান কাটোয়া রোড অবরোধও করেন বেশ কিছুক্ষণ। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। 
সরাইটিকর গ্রামের বাসিন্দা অনিল মাকড় জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে ওই জায়গাটিতেই এলাকার হিন্দুরা তাঁদের পারলৌকিক কর্ম করে আসছেন। সম্প্রতি এলাকার পঞ্চায়েতের সদস্য সেখ জামাল ওই এলাকার মাপজোপও করেন। তখন তিনি জানান, শ্মশান সংলগ্ন প্রায় ৬ বিঘে জমি রয়েছে। এর কিছুদিন পরই তিনি জানান, ৬ বিঘা নয়, মাত্র ২ বিঘে জমি রয়েছে। 
গ্রামবাসী শুভদীপ কর্মকার অভিযোগ করেছেন, দীর্ঘদিন ধরেই গ্রামবাসীরা মৃতদেহ সৎকার করে আসছেন যে জায়গায় সেই জায়গাকে হঠাৎ করে পঞ্চায়েতের সদস্য সেখ জামালের নেতৃত্বে দখল করে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আর এরই প্রতিবাদ করছে সরাইটিকরের গ্রামবাসীরা। তিনি জানিয়েছেন, সেখ জামাল এখন জানিয়েছেন, ওই শ্মশানের এলাকার মালিকানা পাওয়া গেছে। আসলে তিনি এই জায়গার দখল নিতে চাইছেন। যদিও গ্রামবাসীদের দাবী, গোটা বিষয়টিই সন্দেহজনক। ওই জমিকে কৌশলে বিক্রি করে দেবার চেষ্টা করছেন সেখ জামাল। 
গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, আচমকাই তাঁদের শ্মশান বন্ধ করে দিলে তাঁরা কোথায় যাবেন? গ্রামবাসীদের আরও অভিযোগ, এর আগেও এলাকার বহু পুকুর বুঝিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা রোজগার করেছেন এলাকার শাসক দলের নেতারা। এক নেতার বিরুদ্ধে গ্রামবাসীদের অভিযোগ, তিনি অবৈধ ভাবে পুকুর বোঝানোর টাকায় ফ্ল্যাট তৈরি করেছেন। এমনকি পুকুর বুঝিয়ে এলাকায় একটি সার কারখানা তৈরি করারও অভিযোগ এনেছেন গ্রামবাসীরা। 
এদিকে বর্ধমান ১ নং ব্লক সভাপতি কাকলি গুপ্ত এই ঘটনার বিষয়ে জানিয়েছেন, শশ্মানের জায়গা দখল করে নেওয়ার বিষয় ঠিক নয়। তবে অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। তিনি জানিয়েছেন, ওই জমির মালিকের হদিশ মিলেছে। যেহেতু এটি গ্রামের মানুষের বিষয়, তাই তাঁরা প্রয়োজনে জমির মালিকের কাছে ওই শ্মশান যাতে বহাল থাকে সেজন্য তাঁর কাছে জমিটি চাওয়া হবে। অপরদিকে, এব্যাপারে বারবার সেখ জামালের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

আরো পড়ুন