বর্ধমানে সিগন্যাল ব্রেক করেই রাতে চলছে যানবাহন, উদাসীন প্রশাসন, উদ্বিগ্ন শহরবাসী

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: করোনার তৃতীয় ঢেউ কে আটকাতে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সর্বসাধারণ কে সচেতন করতে একাধিক পদক্ষেপ ইতিমধ্যে গ্রহণ করেছে। রাস্তায় বেরোলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক সে ব্যাপারে সচেতন করতে রীতিমত ‘মাস্ক আপ বর্ধমান’ নামে একটি কর্মসূচিও চালু করেছে। পাশপাশি বাইক নিয়ে রাস্তায় বেরোলে হেলমেট পরা বাধ্যতামূলক, এই বার্তা দিতেও সাধারণ মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি জোরদার নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ। প্রয়োজনে কঠোর হতেও ছাড়ছে না। মাঝে মধ্যেই জরিমানা করা, এমনকি বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে গ্রেফতার পর্যন্ত করা হচ্ছে নিয়মভঙ্গকারীকে। বর্ধমান পৌরসভার সামনে, কার্জন গেটে, এমনকি বিরহাটা এবং উল্লাস মোড়ে প্রতিদিন চলছে নাকা চেকিং।

কিন্তু রাত দশটার পর প্রতিদিন যে ভাবে বর্ধমান শহরের জিটি রোড এবং রেলওয়ে ওভারব্রিজ অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে, পাশপাশি রাত্রি ১০টার পর ট্রাফিক পুলিশ আর রাস্তায় না থাকার ফলে যেভাবে বেপরোয়া হয়ে পড়ছে দুচাকা থেকে পণ্যবাহী গাড়িগুলোর একাংশ, এমনকি মানছে না ট্রাফিক সিগন্যাল। সিগন্যাল ব্রেক করেই ছুটছে দুচাকা থেকে চার চাকা। সেব্যাপারে জেলা পুলিশ বা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তেমন কোনো পদক্ষেপ এখনো নেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ একাংশের। ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা প্রবল হচ্ছে বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।

আর এই ধরণের ঘটনা প্রায় ঘটতে থাকলেও (সিসি ক্যামেরার নজরদারি থাকা সত্ত্বেও) তেমন কোনো ব্যবস্থাই এখনো জেলা পুলিশের পক্ষ থেকেও নেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ শহরবাসীর একাংশের। যদিও রাত ৯টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া যাতায়াতের উপর কড়া সরকারি বিধিনিষেধ আরোপ করা আছে। তবুও ট্রাফিক ব্যবস্থার ঢিলেমির সুযোগ নিয়ে রাতের বর্ধমান শহরে চলছে দেদার নিয়ম ভাঙার খেলা। বর্ধমান শহরের প্রাণকেন্দ্র জিটি রোডের উপর কার্জন গেট চত্বরে চারদিকে রয়েছে সিসি ক্যামেরা। যেকোনো ধরণের ট্রাফিক সম্বন্ধীয় অনিয়ম যাতে ধরা যায় তার জন্যই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

কিন্তু রীতিমত লাল আলো থাকা সত্ত্বেও এবং রাত দশটার পর কার্জন গেট এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ বা সিভিক না থাকার সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে পায় প্রতিদিনই একাধিক দু চাকা থেকে চারচাকা এমনকি পণ্যবাহী গাড়ি হু হু করে সিগন্যাল ব্রেক করেই চলে যাচ্ছে। এদিকে কার্জন গেট এলাকায় এসে মিশেছে শহরে ভিতরের চারদিকের চারটি রাস্তা। স্বাভাবিকভাবেই রাতে যারা গাড়ি নিয়ে যাতায়াত করছেন ( যে কোনো কারণেই) অনেক সময়ই তারা আচমকাই বিপদের সম্মুখীন হয়ে পড়ছেন। কারণ তারা সবুজ সিগন্যাল দেখে রাস্তা পেরোতে গিয়ে বিপদের সামনে চলে আসছেন। পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের ডিএসপি ট্রাফিক অতনু ব্যানার্জি জানিয়েছেন, রাত দশটার পর ট্রাফিক ব্যবস্থা সামলানোর মতো পরিকাঠামো জেলা পুলিশের নেই। তবে তিনি জানিয়েছেন, ট্রাফিক আইন ভঙ্গকারী প্রত্যেক যানবাহনের বিরুদ্ধে যাতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় সেব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছেন তিনি।

Recent Posts