বিজ্ঞাপন
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: সোনা বন্ধক রেখে ঋণ প্রদানকারী একটি সংস্থার বিরুদ্ধে গ্রাহকদের প্রতারণা করার অভিযোগ দায়ের হল বর্ধমান থানায়। চলতি লকডাউনের মাঝে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শহর জুড়েই। বর্ধমান শহরের বাদামতলার রামকৃষ্ণপল্লীর বাসিন্দা অধ্যাপক সুদীপ মজুমদার অভিযোগ করেছেন, গতবছর ৫ ডিসেম্বর তিনি ওই সংস্থায় সোনা বন্ধক রেখে ২৮ হাজার টাকা ঋণ নেন। গত ৩০ মার্চ ঋণ বাবদ সুদ জমা দেবার কথা ছিল। যথারীতি তিনি বাবুরবাগ শাখায় সুদ জমা দেবার জন্য গেলে করোনা উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ওই শাখা বন্ধ থাকায় তিনি ফিরে আসেন।
তিনি জানিয়েছেন, গত ১৮ এপ্রিল ওই সংস্থা থেকে তাঁর মোবাইল ফোনে করোনা উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বাড়িতে থাকার পরামর্শ ও সুস্থ থাকার পরামর্শ দিয়ে একটি রুটিন মেসেজ আছে। তিনি দাবী করেছেন, ১৮ এপ্রিলের আগে বা পরে তাঁর কাছে ঋণবাবদ সুদ জমা দেবার বিষয়ে কোনো সূচনাই দেওয়া হয়নি সংস্থার পক্ষ থেকে। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে তিনি ওই শাখা অফিসের সামনে দিয়ে যাবার সময় অফিস খোলা দেখে তিনি তাঁর সুদের টাকা জমা দিতে যান।
সুদীপবাবু জানিয়েছেন, এই সময় তাঁকে গত ২০ এপ্রিল থেকে ২ মাস ৬ দিনের সুদ জমা দেবার কথা বলা হয়। কিন্তু কি কারণে তাঁর কাছ থেকে এই অঙ্কের সুদ চাওয়া হচ্ছে তা জানতে চাইলে রীতিমত তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার শুরু করেন অফিসের কর্মীরা। এমনকি অফিসের নিরাপত্তারক্ষী দিয়ে তাঁকে নিগৃহীতও করা হয়।
সুদীপবাবু জানিয়েছেন, শুধু তিনিই নন, এই ধরণের অনেক গ্রাহকের কাছ থেকেই সুদ বাবদ অতিরিক্ত অর্থ দাবী করা হয়েছে। এমনকি কার্যত গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। আর তাই তিনি বর্ধমান থানায় ওই সংস্থার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছেন। যদিও এব্যাপারে ওই সংস্থার পক্ষ থেকে কোনো উত্তর মেলেনি।