বিজ্ঞাপন
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: টোটোয় করে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে যাবার জন্য বাড়ি থেকে বের হতেই আচমকাই শুরু বমি। সঙ্গে শরীরে ঝাঁকুনি। গুরুতর অসুস্থ ছাত্রীকে ভর্তি করা হল বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। একইসঙ্গে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তৎপরতায় হাসপাতালের বেডে বসেই এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষার শেষ জীবন বিজ্ঞান পরীক্ষা দিল বর্ধমানের কৃষ্ণপুর হাইস্কুলের মাধ্যমিকের ছাত্রী তাসমিনা আনসারি।
কৃষ্ণপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সৌমেন কোনার জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ধরেই মাধ্যমিকের পরীক্ষা দিতে থাকায় ওই ছাত্রী শারীরিক ও মানষিকভাবে উৎকণ্ঠায় ছিল বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে। পরীক্ষার জন্য অতিরিক্ত চাপ নেবার জন্যই ওই ছাত্রী সম্ভবত অসুস্থ হয়ে পড়ে। সৌমেনবাবু জানিয়েছেন, তাসমিনার সিট পড়েছিল সুভাষপল্লীর হরিসভা স্কুলে। তার বাড়ি সরাইটিকর অঞ্চলে।
বুধবার জীবনবিজ্ঞান পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় হঠাৎ তার বমি শুরু হয়। একইসঙ্গে কাঁপুনিও ছিল। তাকে সঙ্গে সঙ্গে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। জরুরি বিভাগে দ্রুত তার চিকিৎসা শুরু হয়। একইসঙ্গে হাসপাতালের বেডে বসেই যাতে সে পরীক্ষা দিতে পারে তারও বন্দোবস্ত করা হয়। খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন কৃষ্ণপুর উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সৌমেন কোনার। অক্সিজেন, সেলাইন দেওয়ার পর তাসমিনা একটু সুস্থ হতেই দুপুর বারোটা নাগাদ জরুরি বিভাগের মধ্যেই বিশেষ কেবিনে তার পরীক্ষা শুরু হয়। নির্ধারিত সময়েই পরীক্ষা শেষ করে সে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, পরীক্ষার পরও তাঁকে হাসপাতালে জরুরিবিভাগে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে। এদিন পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ছাত্রীটির সঙ্গে দেখা করেন জেলা যুব কংগ্রেস সভাপতি গৌরব সমাদ্দার। তিনি ও তার অনুগামীরা ওই ছাত্রীটির হাতে ডাব সহ কিছু ফল তুলে দেন। তাসমিনা জানিয়েছে জীবনবিজ্ঞান পরীক্ষা তার মোটামুটি ভালই হয়েছে।