বর্ধমান আদালতে জামিন নিয়েই মালদা বিস্ফোরণে এনআইএ তদন্ত চাইলেন দিলীপ ঘোষ

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: মালদার সুজাপুরে বিস্ফোরণে ৪জনের মৃত্যুর পাশাপাশি গোটা রাজ্য জুড়েই প্রায় সব জেলাতেই বিস্ফোরণ হচ্ছে – এসবের সত্য কেন্দ্রীয় এজেন্সী ছাড়া সামনে আসবে না। সিআইডি কিংবা রাজ্য পুলিশ সত্য প্রকাশ হোক এটা চাইছে না। বৃহস্পতিবার বর্ধমান আদালতে একটি মামলায় জামিন নিতে এসে একথা বলে গেলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। 

বিজ্ঞাপন

এদিন দুপুরে উল্লাস মোড় থেকে বিজেপির সমর্থকরা বাইক মিছিল করে দিলীপবাবুকে নিয়ে আসেন বিজেপির জেলা অফিসে। সেখান থেকে ফের মিছিল করে আদালতে পৌঁছান। যদিও মাঝপথে দফায় দফায় পুলিশ মিছিল আটকে দেয়। বর্ধমান আদালতে পৌঁছানোর আগে বিশাল মিছিল আটকালেও শেষ পর্যন্ত দিলীপ ঘোষ সহ বিজেপির নেতাদের চারটি গাড়ি আদালতে পৌঁছায়। এদিন আদালত থেকে জামিন নিয়ে বের হবার পর দিলীপবাবু জানিয়েছেন, গতবছর রায়নায় একটি জনসভায় পুলিশের বর্তমান দুরাবস্থা সম্পর্কে বাস্তব পরিস্থিতি বোঝাতে কিছু বক্তব্য রেখেছিলেন। তার পরিপ্রেক্ষিতেই কেউ একজন মামলা করেন।

 তিনি জানান, আদালতের নির্দেশ মেনে তিনি এদিন আদালতে হাজির হয়ে জামিন নিয়েছেন। ফের ৩০ ডিসেম্বর শুনানির দিন ধার্য হয়েছে। কিন্তু রাজ্য সরকারের নির্দেশ অনুসারে তাঁকে হয়ত আর বর্ধমান আদালতে আসতে হবে না, বারাসত আদালতে যেতে হবে। তিনি জানিয়েছেন, পুলিশের অবস্থা এখন আরও খারাপ হয়েছে। ডিএ না পেয়েও পে স্লিপে সই করতে হয়েছে। ডিএ না পেয়েও তা স্বীকার করতে হচ্ছে। স্কুল কলেজে ভর্তি থেকে চাকরিতেও টাকা নেওয়া হচ্ছে। এটা খুল্লামখুল্লা চলছে। এজন্য বহুলোকের নামে কেসও হয়েছে। এই সামাজিক পরিস্থিতি এবং প্রশাসনের দুরবস্থা মানুষকে জানানোর দরকার আছে।

 দিলীপবাবু জানান, এই সরকার থাকলে এটা দূর হবে না। এদিন মালদার সুজাপুরে বিস্ফোরণে ৪জন মারা যাওয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, বাইরে থেকে উগ্রপন্থী, বিস্ফোরক আসছে। বাংলায় অস্ত্রের কারখানা তৈরী হচ্ছে। প্রশাসনের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। এরা কেবল বিজেপিকে আটকাতে ব্যস্ত। মুর্শিদাবাদের একাধিক উগ্রপন্থী ধরা পড়েছে। গোটা রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন জেলায় জেলায় বিস্ফোরণ হচ্ছে। রোহিঙ্গা আর অনুপ্রবেশকারীদের গড় হয়ে গেছে। তারা গিয়ে ভারতবর্ষে উৎপাত করছে। তিনি জানিয়েছেন, বারবার তাঁরা এনআইএ তদন্ত দাবী করেছেন। তদন্ত শুরুও হয়েছে। ইডিও তদন্ত করছে। কান টানলে মাথা আসবে। কেন্দ্রীয় তদন্ত ছাড়া সত্য সামনে আসবে না। 

তিনি এদিন বলেন, সিআইডি সত্য প্রকাশ করতে চাইছে না। অন্যদিকে, রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজা করাকে কেন্দ্র করে সুপ্রীম কোর্ট হাইকোর্টের রায়কেই বহাল রাখা সম্পর্কে দিলীপবাবু জানিয়েছেন, মানুষের ভক্তি আছে, পুজো হোক। কিন্তু জল দূষণ যাতে না হয় তাও দেখা দরকার। এব্যাপারে সরকারের বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। জলাশয়ের পরিচ্ছন্নতাও দরকার। দিলীপবাবু এদিন বলেন, বহু জলাশয় নষ্ট হয়ে গেছে। সেগুলিও ব্যবহারযোগ্য করা উচিত। গঙ্গার মতই জলাশয়গুলিকে স্বচ্ছ হওয়া দরকার। সেজন্য সরকারকেই ব্যবস্থা নিতে হবে।

আরো পড়ুন