ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: প্রতিবছরই বিশেষত গ্রীষ্মকালে গ্রামে গ্রামে আগুন লাগার ঘটনায় বারবারই দমকলের বিরুদ্ধে দেরীতে ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর অভিযোগ ওঠে। আর এবার সেই অভিযোগের নিষ্পত্তি করতে গোটা রাজ্যের পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমান জেলাতেও প্রতিটি ব্লকে একটি করে দমকল কেন্দ্র তৈরীর কাজ হাতে নিলে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদ। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের নির্দেশ পাওয়ার পরই তাঁরা জেলার ২৩টি ব্লক প্রশাসনকেই দমকল কেন্দ্রের জন্য প্রয়োজনীয় জমি দেবার বিষয়ে জানিয়েছেন।
ইতিমধ্যেই রায়না ১ ও ২ ব্লক এবং খণ্ডঘোষ পঞ্চায়েত সমিতি জমি চিহ্নিত করে তাঁদের পাঠিয়েছেন। বাকি ২০টি ব্লককে দ্রুত এই জমির বিষয়ে জানাতে বলা হয়েছে। সভাধিপতি জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে প্রতিটি ব্লকের একেবারে কেন্দ্রস্থলে এই জমি খোঁজা হচ্ছে। এর মূল কারণ যাতে গোটা ব্লকের যেখানেই কোনো সমস্যা দেখা দেবে দ্রুত দমকল কর্মীরা সেখানে পৌঁছাতে পারেন। প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এই প্রকল্পের জন্য ১০ কাঠা জমি লাগবে। প্রতিটি ব্লক দমকল কেন্দ্র তৈরীর জন্য ৪ কোটি টাকা করে বরাদ্দও করা হয়েছে।
সভাধিপতি জানিয়েছেন, তাঁরা চাইছেন প্রতিটি এই দমকল কেন্দ্রে ন্যূনতম দুটি গাড়ি এবং তার সঙ্গে প্রয়োজনীয় কর্মীও থাকবেন। ব্লকের এই দমকল কেন্দ্রের কাজ করবে পূর্ত দপ্তর। ইতিমধ্যেই পূর্ত দপ্তরকে প্রয়োজনীয় নকসা এবং খরচের বিষয়ে এষ্টিমেট প্ল্যান জমা দিতে বলা হয়েছে। সম্প্রতি ব্লক দমকল কেন্দ্রের জন্য বর্ধমান জেলা দমকল বিভাগের আধিকারিকদের সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনাও হয়েছে বলে শম্পা ধাড়া জানিয়েছেন। সেক্ষেত্রে চলতি আর্থিক বছরে রায়না ১ ও ২ এবং খণ্ডঘোষ ব্লকের দমকল কেন্দ্রের জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতি চেয়ে পাঠানো হচ্ছে। আর তা অনুমোদন এলেই আগামী ২০২১ -২০২২ আর্থিক বছরেই এই তিনটি ব্লকেই দমকল কেন্দ্রের কাজ শুরু হয়ে যাবে।
একইসঙ্গে তাঁরা চাইছেন বাকি ২০টি ব্লকেও একইভাবে দ্রুততার সঙ্গে এই ব্লক দমকল কেন্দ্র তৈরী করে ফেলতে। উল্লেখ্য, বর্তমানে বর্ধমান সদর, মেমারী এবং ভাতারেই রয়েছে দমকল কেন্দ্র। বিশেষ করে বর্ধমান শহরে যে দমকলকেন্দ্র রয়েছে তাঁদের রায়না, খণ্ডঘোষ, মাধবডিহি সহ শহর লাগোয়া বিশাল এলাকা জুড়েই কাজ করতে হয়। অনেক সময়ই দূরত্বের কারণে তাঁরা ঘটনাস্থলে সঠিক সময়ে পৌঁছাতেও পারেন না। তাই সেক্ষেত্রে এই ব্লক ভিত্তিক এই দমকল কেন্দ্রগুলি তৈরী হলে সর্বসাধারণের পরিষেবা দেওয়া অত্যন্ত সহজতর হবে।