পূর্ব বর্ধমান জেলা তথা বর্ধমান ২নং ব্লকের নান্দুড় এলাকার দেবশিশু ওয়েলফেয়ার সোসাইটির কর্ণধার সবিতাব্রত হাটি জানিয়েছেন, শুক্রবার তাঁদের এই আলোচনা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে। কোথায় কি কি অসুবিধার জন্য এখনও আক্রান্তরা ক্ষতিপূরণ পাননি তা বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে জামালপুরের এক মহিলা অ্যাসিড আক্রান্ত হন। ওই সালেই রায়নার নেত্রখণ্ডের এক মহিলা, কেতুগ্রামের চাকটা এবং কাঁদরা, রাজোরা এলাকার মোট ৬ জন, মাধবডিহির এক মহিলা, মন্তেশ্বরের দাওকোডাঙার ২জন, কাটোয়ার মেজিয়ারীর ১জন এবং জামালপুরের মহিন্দরের একজন সহ মোট ১৩জন অ্যাসিড আক্রান্ত হন। এর মধ্যে ৫জন পুরুষও রয়েছেন। উল্লেখ্য, ২০১৯ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে সবথেকে বেশি অ্যাসিড আক্রান্তের ঘটনা ঘটেছে কেতুগ্রামে। এই দুবছরেই কেতুগ্রাম থানার অধীন বিভিন্ন এলাকায় মোট ৬জন আক্রান্ত হন।
এরই পাশাপাশি ২০১৭ সালেও মেমারী থানার বোহার এলাকার এবং কাটোয়ার কুয়ারডাঙা এলাকায় দুই মহিলা আক্রান্ত হন। জানা গেছে, ২০০৩ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত গোটা জেলায় অ্যাসিড আক্রান্তের ঘটনা ঘটে প্রায় ১২টি। এই ১২টি ঘটনায় আক্রান্তদের কাছে ৩ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়ে গেছে। যদিও ২০১৭ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত মোট ১৫টি কেসের মধ্যে কেউই কোনো ক্ষতিপূরণ পাননি। এর মধ্যে ২টি কেসকে মিথ্যা বলে বাতিলও করে দেওয়া হয়েছে। ফলে সবমিলিয়ে এখনও ক্ষতিপূরণ পেতে বাকি ১৩জন আক্রান্ত ব্যক্তি।
সবিতাব্রত হাটি জানিয়েছেন, এই সমস্ত কেসগুলির মধ্যে ৬টি কেসের রিপোর্ট জেলা আইনি সহায়তা কেন্দ্র থেকে (ডিএলএসএ) রাজ্য আইনী সহায়তা কেন্দ্রে পাঠানো হয়ে গেছে। বাকি ৭টি কেসের রিপোর্ট জেলা আইনী সহায়তা কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, যাতে দ্রুত এই আক্রান্ত ব্যক্তিরা ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন তার জন্যই শুক্রবার রাজ্য মহিলা কমিশনের সঙ্গে দীর্ঘ ভার্চুয়াল বৈঠক হয়েছে। কোথায় কোথায় কি অসুবিধা রয়েছে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আশা করা যায় দ্রুত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। জানা গেছে, যে দুটি কেসকে মিথ্যা বলে বাতিল করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে কাটোয়ার একটি কেসও। উল্লেখ্য, এদিন যে ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় রাজ্যের ৩টি সংগঠনের প্রতিনিধি ছাড়াও হাজির ছিলেন মুম্বাই, কলকাতা এবং নিউদিল্লীর প্রতিনিধিরাও।