ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক, পূর্ব বর্ধমান: ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগেই এবং চলতি পুজো পর্ব মিটলেই পূর্ব বর্ধমান জেলায় কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি বিলের সমর্থনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে চলেছে বিজেপির কিষাণ মোর্চা। বুধবার বর্ধমানে জেলা বিজেপি পার্টি অফিসে বিজয়া সম্মিলনীতে অংশ নিতে এসে একথা জানিয়ে গেলেন কিষাণ মোর্চার রাজ্য সভাপতি মহাদেব সরকার।
মহাদেববাবু এদিন জানিয়েছেন, গোটা ভারতবর্ষে দুটি রাজ্য ছাড়া পশ্চিমবাংলার তৃণমূল সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের এই কৃষি আইন নিয়ে ভুল বুঝিয়েছেন বাংলার কৃষককে। বাংলার তৃণমূল সরকারের রাজনৈতিক দুরভিসন্ধির জন্য চালু হয়নি কৃষি সম্মান নিধি। যার ফলে বাংলার প্রায় ৭৬ লক্ষ কৃষক ১৪ হাজার টাকা পাওনা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। মহাদেববাবু জানিয়েছেন, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই এবং চলতি পূজো পর্ব মিটলেই বর্ধমানে বড় কৃষক সমাবেশ হতে চলেছে। কিভাবে বাংলার তৃণমূল সরকার বাংলার কৃষকদের ভুল বুঝিয়ে তাঁদের ক্ষতি সাধন করছেন তা এই সমাবেশে তুলে ধরা হবে।
তিনি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি আইন নিয়ে বিজেপি সর্বস্তরে প্রচারাভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তারই পাশাপাশি বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের নির্দেশে জেলায় জেলায় কৃষকদের নিয়ে বড় সমাবেশ করার কর্মসূচী নেওয়া হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, কেন্দ্রের মোদী সরকার কৃষকদের জন্য গত ৬ বছরে কি কি করেছেন তা তুলে ধরাই তাঁদের লক্ষ্য। তিনি জানিয়েছেন, ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এদিন মহাদেববাবু জানিয়েছেন, বাম আমলে বাংলায় কৃষকদের মৃত্যু মিছিল হয়েছে। ফসলের ন্যায্য দাম না পেয়ে, ফসল নষ্টের কারণে কৃষকরা আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে। বিগত বাম সরকার যেমন তার কোনো স্বীকৃতি দেয়নি, নেয়নি কোনো পরিকল্পনা, তেমনি বর্তমান তৃণমূল সরকারও একইপথে হাঁটছে। ২০১১ সালের পর থেকে কৃষকদের জন্য কোনো সঠিক পরিকল্পনাই গ্রহণ করেনি তৃণমূল সরকার। উপরন্তু কৃষকদের উন্নতির লক্ষ্যে মোদি সরকার যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন তাকে ভুল ব্যাখ্যা করে কৃষকদের বিভ্রান্ত করা হয়েছে।
মহাদেববাবু এদিন জানিয়েছেন, বাংলার তৃণমূল সরকার রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছিল সিঙ্গুর, নন্দীগ্রামকে হাতিয়ার করেই। কিন্তু সেই সরকারই এখন কৃষকদের ন্যায্য পাওনা পেতে বাধা সৃষ্টি করছে। তাই বিধানসভা ভোটের আগেই জেলায় জেলায় কৃষকদের নিয়ে বড় বড় সমাবেশ করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এদিন এই বিজয়া সম্মিলনীতে হাজির ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দী, জেলা কিষাণ মোর্চার সভাপতি দেবাশীষ সরকার প্রমুখরা।