জেলাশাসক জানিয়েছেন, আগামী ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে এই আবেদনকারীদের আবেদনপত্র সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীর বাড়ি গিয়ে খতিয়ে দেখে একটি রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে। তারপরেই চুড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। অন্যদিকে, এদিন জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া জানিয়েছেন, কৃষি যন্ত্রপাতি প্রদানকে (ভাড়া কেন্দ্র CSP) কেন্দ্র করে অনিয়মের বিষয় নিয়ে এদিন রিপোর্ট জমা পড়েছে। তিনি জানিয়েছেন, গতবছর যাঁরা প্রাপকের তালিকায় ছিলেন কিন্তু সরকারী আর্থিক বরাদ্দের অভাবে তাঁরা তা পাননি, সেই তালিকা থেকে ৪জনকে এই নতুন তালিকায় রাখা হয়েছে।
সভাধিপতি জানিয়েছেন, এবছর ২০জনকে এই যন্ত্রপাতি প্রদান করা হবে। ৯ ডিসেম্বর ফের রিপোর্ট জমা পড়ার পর চুড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। ইতিমধ্যে এই কৃষি যন্ত্রপাতি প্রদান কর্মসূচিকে ঘিরে অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় তদন্তে নামে প্রশাসন। বছরের পর বছর একই ব্যক্তি নিজের ও আত্মীয়দের নামে এই কৃষি যন্ত্রপাতি পেয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ ছিলই। আরো অভিযোগ ওঠে, সরকারী ভর্তুকিতে কৃষি যন্ত্রপাতি পাইয়ে দেবার জন্য অতি সক্রিয় হয়ে উঠেছে একশ্রেণীর দালালও। গোটা জেলার একাধিক ব্লকে একাধিক নামও এব্যাপারে উঠে এসেছে যাঁরা বিগত কয়েক বছরে এই যন্ত্রপাতি পেয়েছেন।
আর তারপরেই অভিযোগ উঠেছে এই কৃষি যন্ত্রপাতি পাইয়ে দেবার নামে সরকারী ভর্তুকির টাকা আত্মসাত করা হচ্ছে। অথচ যাঁরা প্রকৃত দাবীদার তাঁরা বছরের পর উপেক্ষিতই থেকে যাচ্ছেন। জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া জানান, যাঁরা কয়েকবছরে লাগাতার এই সুবিধা পেয়েছেন সেই সমস্ত ক্ষেত্রগুলিতে তাঁরা তদন্ত করে দেখবেন। অনিয়ম করা হলে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, এই বিষয়ে অভিযোগ সরাসরি রাজ্যের কৃষিমন্ত্রীর কাছেও জমা পড়ে। তিনিও গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।