সেক্ষেত্রে বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাসের স্ত্রী তথা শহরের ২৩নং ওয়ার্ড থেকে প্রথমবার জয়ী প্রার্থী মৌসুমী দাসের নাম যেমন চর্চায় ছিল, তেমনি ৯নং ওয়ার্ড থেকে দ্বিতীয় বারের জন্য জয়ী বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানি বিভাগীয় প্রধান শিখা দত্ত সেনগুপ্ত এবং এবারের ১১নং ওয়ার্ড থেকে জয়ী গত চারবারের কাউন্সিলার, প্রাক্তন শিক্ষক বর্ষীয়ান নেতা পরেশ চন্দ্র সরকারের নামও প্রথম সারিতে ঘোরাফেরা করেছে। এমনকি এবারের নির্বাচনে জয়ী প্রাক্তন পুলিশ অফিসার ১২নং ওয়ার্ডের তৃণমূলের প্রার্থী ভবদেব চক্রবর্তী, ৩১নং ওয়ার্ড থেকে জয়ী শহর তৃণমূল সভাপতি অরূপ দাস, ৩২ নং ওয়ার্ড থেকে প্রথমবার জয়ী অজিত খাঁ, ৩৩নং ওয়ার্ড থেকে জয়ী প্রধান শিক্ষিকা পামেলা চট্টোপাধ্যায়, ১৪নং ওয়ার্ড থেকে হাড্ডা হাড্ডি লড়াইয়ে জিতে আসা জেলার প্রাক্তন তৃণমূল যুব সভাপতি রাসবিহারী হালদারের নামও বারবার আলোচনার শীর্ষে ছিল।
তৃণমূল কংগ্রেসের পূর্ব বর্ধমান জেলা নেতৃত্বের একাংশ সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদের জন্য অনেকেই রাজ্য নেতৃত্বের কাছে তদবির তদারকি শুরু করে দিয়েছিলেন। এরই পাশপাশি বিধায়কের এবং জেলা সভাপতি ও মন্ত্রীর তৈরি করা একটি করে লিস্ট রাজ্য নেতৃত্বের কাছে জমা পড়ে। পরবর্তীকালে সেই লিস্ট থেকেই দুজনের নাম বর্ধমান পুরসভার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য নেতৃত্ব। এদিকে দলেরই একাংশ সূত্রে শোনা গেছে, বর্ধমান পুরসভার সম্ভাব্য নতুন চেয়ারম্যান হতে চলেছেন শিখা দত্ত সেনগুপ্ত। সম্ভাব্য ভাইস চেয়ারম্যান রাসবিহারী হালদার। যদিও এবিষয়ে তথ্য প্রমাণ কেউই দিতে পারেনি।
পাশাপাশি রাজ্য ও জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে কোনো খবর নেই বলেই জানানো হয়েছে। পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, প্রত্যেক পুরসভার নতুন চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের নাম ঠিক করছে রাজ্য নেতৃত্ব। সুতরাং এব্যাপারে তার কিছুই জানা নেই। তিনি জানিয়েছেন, জেলার গুসকরা পুরসভা বাদে বাকি বর্ধমান, মেমারী, কালনা, কাটোয়া ও দাইহাট পুরসভার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান দের লিস্ট জেলা সভাপতির কাছে আসার কথা। ফলে রাজ্য থেকে তার কাছে নামের তালিকা পাঠালে কবে, কোথায়, কিভাবে তার ঘোষণা করা হবে সেই নির্দেশ অনুযায়ী আগামী বুধবারের মধ্যে পুরসভা ভিত্তিক অনুষ্ঠানে জানিয়ে দেওয়া হবে।