ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: রাজ্যপালের মনোনীত প্রার্থীকে খারিজ করে উচ্চ শিক্ষা দপ্তর নিজের মনোনীত সহ-উপাচার্য কে নিয়োগ করল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন সহ উপাচার্য হলেন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের সিনিয়ার অধ্যাপক ড.আশিস কুমার পাণিগ্রাহী। উল্লেখ্য, রাজ্যপাল সোমবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণী বিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক গৌতম চন্দ্রের নাম প্রস্তাব করেন। সেই নিয়েই চরম সংঘাত শুরু হয় রাজ্য – রাজ্যপালের মধ্যে। ড. পানিগ্রহীর নিয়োগের চিঠি বিকাশভবন থেকে সোমবারই বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড.নিমাই চন্দ্র সাহার কাছে পাঠিয়েও দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্যের পদটি গত ২১ ফেব্রুয়ারি থেকেই খালি। ড.মহুয়া সরকার ওই পদ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর এই পদে নতুন করে নিয়োগ হয়নি। সূত্রের খবর, সম্প্রতি লকডাউনের প্রেক্ষিতে হওয়া লেখাপড়ার ক্ষতি সামলানোর কাজে গতি আনতে ওই পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য উচ্চশিক্ষা দফতর। সেইমতো আচার্যের কাছে দুজনের নামের প্যানেল পাঠানো হয়। কিন্তু সেই প্যানেল খারিজ করে দেন আচার্য ধনখড়। তিনি নিজের ইচ্ছায় ওই পদে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়েরই প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড.গৌতম চন্দ্রের নাম প্রস্তাব করেন। যদিও এই নিয়োগ মানতে চায় নি রাজ্য উচ্চশিক্ষা দফতর ।
এদিকে রাজ্য সরকারকে এড়িয়ে আচার্যের দ্বারা এভাবে সহ উপাচার্যের নিয়োগ পুরোপুরিভাবে বেআইনি ও বর্ধমান ইউনিভার্সিটি অ্যাক্ট ও ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি রুলসের ৯ নং ধারার পরিপন্থী বলেই উচ্চ শিক্ষা দপ্তর থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়। এরপরেই উচ্চশিক্ষা দফতর সিদ্ধান্ত নেয় বর্ধমান ইউনিভার্সিটি অ্যাক্টের ৫৮ নম্বর ধারা প্রয়োগের। এই ধারা অনুসারে এইরকম ‘সাংবিধানিক’ সংকটের ক্ষেত্রে রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য কে বাদ রেখেই নিয়োগের সংস্থান রয়েছে ।
সেই মোতাবেক বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্যের পদে সোমবারই নিয়োগ করে দেওয়া হয় অধ্যাপক ড.আশিস কুমার পাণিগ্রাহীকে। উল্লেখ্য, রাজ্যপালের সঙ্গে নানা ইশ্যুতে বেশ কিছুদিন ধরেই রাজ্য সরকারের সংঘাত তুঙ্গে । তার মধ্যেই বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্যের নিয়োগ ঘিরে এই মতানৈক্য সেই সংঘাতে নতুন মাত্রা যোগ করল বলেই মনে করছে শিক্ষাবিদ মহল।