ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: কিছুদিন আগেই কালনা ও বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে কর্তব্যরত অস্থায়ী মহিলা সেবা কর্মীদের বিরুদ্ধে ছেলেই হোক বা মেয়ে – জোর করে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল মায়েদের কাছ থেকে। এবার
বিজ্ঞাপন
বিনা খরচে রোগীকে পৌঁছে দেবার সরকারি ১০২ অ্যাম্বুলেন্সের জন্যও টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠল বর্ধমান হাসপাতালের এক মহিলা কর্মীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই আলোড়ন পড়েছে।
শনিবার কেতুগ্রাম থানার দক্ষিণডিহি গ্রামের বাসিন্দা ইন্দ্রজিৎ পাল লিখিত অভিযোগে পুলিশ কে জানিয়েছেন, এদিন হাসপাতালে সরকারি অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা দেবার দায়িত্বে থাকা এক মহিলা কর্মী তার কাছ থেকে টাকা চেয়েছে। পরে হাসপাতালের ক্যাম্পে থাকা পুলিশ ইন্দ্রজিৎ কে নিয়ে ওই কর্মীরা কাছে গেলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন পুলিশের কাছে। পরে পুলিশের মধ্যস্থতায় স্ত্রী কে নিয়ে বাড়ি ফেরেন ইন্দ্রজিৎ পাল।
ইন্দ্রজিৎ বাবু বলেন, ‘আমার স্ত্রীকে ছুটি দেবার সময়েই দিদিমনিরা বলেন সরকারি খরচেই আপনি অ্যাম্বুল্যান্স পেয়ে যাবেন। আমিও সেই মতো খোঁজ নিয়ে একতলার একটি ঘরে গেলে ওখানে দায়িত্বে থাকা এক মহিলা কর্মী আমাকে বলে টাকা ছাড়া অ্যাম্বুল্যান্স পাওয়া যাবেনা। আমি ওই কর্মীর কাছে জানতে চাই, কত টাকা লাগবে। তিনি বলেন, আপনি যা পারবেন দিন। আমি আড়াইশো টাকা দিতে রাজি হই। উনি বলেন তিনশো টাকা লাগবে। কিন্তু বিনা পয়সার অ্যাম্বুলেন্সে কেন টাকা দিতে হচ্ছে ভেবে আমি হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পে চলে আসি। সেখানে এই ঘটনার কথা জানাই। পুলিশই আমাকে সহযোগিতায় করে। তারপরে আমি বিনা খরচেই অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে বাড়ি আসি।’
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার তাপস ঘোষ বলেন, ‘আমাদের কাছে এখনও অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ এলে অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে। সরকারি খরচেই ১০২ অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা দেওয়া হয়ে থাকে। রোগীর পরিবারের কাছ থেকে এরজন্য টাকা নেওয়া হয়না। যদি এই ধরনের কোনো ঘটনা ঘটে থাকে আমরা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবো।’ বর্ধমান থানা সূত্রে জানা গিয়েছে ইন্দ্রজিৎ পালের লিখিত অভিযোগটি তারা হাসপাতালের সুপারের কাছে পাঠিয়ে দেবেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নেবার নির্দেশ দিলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।
ছবি – ইন্টারনেট