বর্ধমান লুপ লাইনে ট্রেন চালু হলেও ক্ষোভ যাত্রীদের

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: অবশেষে দীর্ঘ প্রায় ৮ মাস পর বুুধবার থেকে বর্ধমান – আসানসোল এবং বর্ধমান থেকে রামপুরহাট রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হল। যদিও এদিন করোনা আবহের পর এই ট্রেন চলাচল নিয়ে যাত্রীরা খুশি হলেও ট্রেনের সংখ্যা কম এবং করোনা আতংকে নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশও করেছেন নিত্যযাত্রীরা। বর্ধমান থেকে রামপুরহাট রুটের নিত্যযাত্রী প্রদীপ ব্যানার্জ্জী জানিয়েছেন, ১৯৭০ সাল থেকে তিনি বর্ধমান কোর্টে আসছেন নিয়মিত। জীবনে প্রথম এই করোনার পর এত দীর্ঘ সময় ধরে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকতে দেখলেন। কিন্তু এরপরেও যখন রেল কর্তৃপক্ষ ট্রেন চালু করলেন তখন উচিত ছিল যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের কথা ভাবা। 

তিনি জানিয়েছেন, এদিন থেকে ৪ জোড়া ট্রেন চালু করা হয়েছে। যা যাত্রীদের পক্ষে নিতান্তই অল্প। সকালের দিকে দুটি এবং বিকালের দিকে দুটি ট্রেন চালু করা হয়েছে। এরফলে ট্রেনে ভিড় বাড়ার শংকা রয়েছে। যদিও তিনি জানিয়েছেন, আগে যেখানে ১০টি কামরা ছিল এদিন তা বাড়িয়ে ১২টি করা হয়েছে। এমনকি ট্রেনে দেখা মেলেনি কোনো হকারদেরও। কিন্তু এটাই সব নয়। দরকার আরও ট্রেনের। নাহলে অফিস টাইমে ট্রেনে ভিড় বাড়ার আশংকা রয়েছে – যা করোনা বিধিকে ভঙ্গ করবে। এরই পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, দীর্ঘ ৮ মাস ধরে তাঁদের কার্যত জীবনের ঝুঁকি নিয়েই যাতায়াত করতে হয়েছে। বাস পরিষেবা চালুর পর বাসের প্রবল ভিড়েই তাঁদের যাতায়াত করতে হয়েছে। ফলে ট্রেন চালু হওয়ায় তাঁদের সুবিধা হলেও রেল কর্তৃপক্ষের উচিত ট্রেনের সংখ্যা আরও বাড়ানো।

একই অবস্থা এদিন বর্ধমান থেকে আসানসোল গামী ট্রেনের যাত্রীদেরও। এই রুটের নিত্যযাত্রীরাও একই কথা বলেছেন। তাঁরাও চান ট্রেনের সংখ্যা আরও বাড়ানো হোক। নাহলে অফিসটাইমে ভিড় সামলানো মুশকিল। শুধু তাইই নয়, নিত্যযাত্রীরা জানিয়েছেন, বর্ধমান থেকে আসানসোল যে ট্রেন পরিষেবা চালু করা হয়েছে সেই ট্রেন অণ্ডালে গিয়ে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকছে। ফলে যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে উঠছে। যাত্রীরা জানিয়েছেন, বর্ধমান থেকে সকাল ৬টা ২০ তে যে ট্রেন আসানসোলে যাচ্ছে তা আসানসোলে পৌঁছাবে ৯টা ২০ তে। মাঝখানে অণ্ডাল ষ্টেশনে দীর্ঘ সময় ধরে ট্রেন দাঁড়িয়ে ছিল।

Recent Posts