ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: করোনা পরিস্থিতির জন্য টানা লকডাউন অব্যাহত। তাবলে দৈনন্দিন খরচ খরচা বন্ধ নেই আম আদমির। আর সেই কারণেই অনেককেই বাড়ি থেকে বেরোতে হচ্ছে নয় এটিএম থেকে টাকা তুলতে, নয়তো বাজার হাট করতে বা ওষুধ কিনতে। বলাবাহুল্য, নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকান পাট নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত খোলা রাখার নির্দেশ রয়েছে প্রশাসনের।
ঘটনাচক্রে বুধবার বর্ধমান শহরের ভাছছালা পাড়ার বাসিন্দা পল্লব দাস টাকা তোলার প্রয়োজনে এসেছিলেন শহরের একটি এটিএম কাউন্টারে। কিন্তু পল্লব বাবু জানিয়েছেন, বিগত একমাস সরকারি নির্দেশিকা, প্রশাসনের সতর্কবার্তা এবং সার্বিক পরিস্থিতি দেখার পরেও এদিন এটিএম কাউন্টারের সিকিউরিটি স্টাফ দের দেখে রীতিমতো হতাশ হয়েছেন। কিন্তু কেন!
পল্লব বাবু জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসের আক্রমণ থেকে প্রত্যেক নাগরিক কে দূরে রাখতে সরকার এবং প্রশাসন একাধিক সচেতনতার বার্তা ইতিমধ্যেই দিয়েছে। কিন্তু এদিন তিনি এটিএম কাউন্টারে টাকা তুলতে গিয়ে প্রত্যক্ষ করেছেন, কেবলমাত্র বর্ধমান শহরেরই নয়, শহর সংলগ্ন বিভিন্ন জায়গার মানুষ তাঁদের প্রয়োজনে টাকা তুলতে আসছেন বিভিন্ন এটিএম কাউন্টারে। কিন্তু এই সমস্ত মানুষ এই মুহূর্তে কতটা শারীরিকভাবে সুস্থ বা সচেতন তা নিয়েই প্রশ্ন তৈরি হয়েছে পল্লব বাবুর মনে।
তিনি মনে করছেন, অবিলম্বে এই এটিএম কাউন্টারগুলির ব্যাংক কতৃপক্ষ তাঁদের নিয়োজিত সিকিউরিটি গার্ড দের জন্য ভাবনাচিন্তা করা উচিত। কারণ একদিকে যেমন খোদ এই সমস্ত গার্ডদের সুরক্ষার প্রয়োজন, অন্যদিকে তাঁদের পরিবারের কোথাও কতৃপক্ষের ভাবা দরকার ছিল। কিন্তু এদিন পল্লব বাবু জানিয়েছেন, নানান জায়গা থেকে বহু মানুষ এই সমস্ত এটিএম কাউন্টার গুলোতে আসলেও, তাঁদের স্যানিটাইজ করার কোনো ব্যবস্থাই রাখা হয়নি। কয়েকটি জায়গায় স্যানিটাইজার দেওয়া হলেও, গ্রাহকদের দেবার কোনো নিদেশিকাই নেই। তিনি জানিয়েছেন, ফলে আশংকা থেকেই যাচ্ছে।
বুধবার শহরের এটিএম কাউন্টারগুলোর এই অবস্থা দেখার পর পল্লব বাবু নিজে বেশ কয়েকটি জায়গায় ঘুরে এই সমস্ত এটিএম কাউন্টারের সিকিউরিটি গার্ডদের সচেতন করা এবং পাশাপাশি সতর্ক করার উদ্যোগ নিলেন।