ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: সামনেই ঈদ। আর পবিত্র ঈদকে সামনে রেখেই খুনের পলাতক আসামিরা ফের ঘরে ঢোকার চেষ্টা করছে। এই অভিযোগে শনিবার বর্ধমান শহরের পীরবাহারাম ডাঙাপাড়া এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়াল। উল্লেখ্য গত ১৫ ফেব্রুয়ারী তৃণমূল নেতা তথা স্থানীয় পীরবাহারাম ডাঙাপাড়া জোনাকি সংঘের সম্পাদক মহম্মদ আকবর ওরফে কালো (৪৬) খুন হন। স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, ক্লাব দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের একটি গোষ্ঠীর হাতে খুন হন কালো। ওই ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূল নেতা সেখ মুন্না সহ প্রায় ৯ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এই ঘটনার পর থেকেই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান সেখ মুন্না সহ দুটি পরিবারের প্রায় ৯জন। শনিবার সকালে মুন্নার পরিবারের দুই মহিলা বাড়িতে ফেরত আসতে গেলে তাতে বাধা দেন স্থানীয়রা।

এলাকার মানুষজন জানিয়েছেন, ওইদিন ক্লাব দখলকে ঘিরে এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজিও করা হয়। এলাকার এই জোনাকি সংঘের সম্পাদক ছিলেন মহম্মদ আকবর ওরফে কালো। প্রায় একবছর আগে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। নতুন সম্পাদক করা হয় সেখ মুন্নাকে। জানা গেছে, কালোর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তারপর গত কয়েকমাস ধরে ক্লাবের কোনো উন্নয়ন না হওয়ার অভিযোগে ফের কালোকেই সম্পাদক পদে ফিরিয়ে আনার দাবীতে সোচ্চার হন একটি গোষ্ঠী। তা নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা চলছিল। এরপর ১৫ ফেব্রুয়ারী রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে কালোকেই সম্পাদক পদে বসানো হয়। এমনকি রীতিমত হাজার খানেক টাকার বাজি ফাটিয়ে তাঁকে ক্লাবে ঢোকানো হয়।
ক্লাবের সদস্যদের একাংশ এই উপলক্ষে রাতে একটি পিকনিকের আয়োজন করেন। রাতের পিকনিকের খাবারের আয়োজনে ব্যস্ত ছিলেন কালো। এই সময় সেখানে সেখ মুন্নার দলবল সশস্ত্র অবস্থায় হাজির হন। কালোকে এলোপাথাড়ি মারধর করার পর চপার জাতীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর ঘাড়ে কোপানো হয়। এই সময় তাঁকে বাঁচাতে ছুটে আসেন জসিমউদ্দিন নামে এক যুবক। তাঁকেও মারধর করা হয়। এদিকে, আচমকা এই হামলার খবর পেয়েই এলাকার মানুষ ছুটে আসলে মুন্নার দলবল ব্যাপকহারে বোমাবাজি করে।