বর্ধমান শহরে অভিজাত পানশালায় ভুজিয়া ব্যবসায়ীকে মারধরের ঘটনায় গ্রেপ্তার এক বাউন্সার, বাকিরা অধরা

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: বর্ধমানের জেলখানা মোড়ে একটি অভিজাত হোটেল কাম বার কাম রেস্টুরেন্টে গত শনিবার দুপুরে গৌতম সাউ নামে এক ভুজিয়া সরবরাহকারীকে ওই হোটেলের কিছু বাউন্সার এবং কয়েকজন স্থানীয় রসিকপুর এলাকার যুবক বেধড়ক মারধর করে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টার ঘটনায় বর্ধমান থানার পুলিশ সিকান্দার সাহানি নামে এক বাউন্সার কে গ্রেফতার করেছে। ধৃত ব্যক্তির বাড়ি কেষ্টপুর গিমটি ফটক এলাকায়। রবিবার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে পেশ করা হলে বিচারক ধৃতকে জেল হেফাজতে পাঠিয়ে সোমবার অর্থাৎ আজকে ফের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন।

বিজ্ঞাপন
উল্লেখ্য, গত শনিবার দুপুরে ভুজিয়া সরবরাহ করা বাবদ বকেয়া টাকা আনতে গৌতম সাউ জেলখানা মোড়ের ওই পানশালায় গিয়েছিলেন। সেখানে ম্যানেজারের সঙ্গে দেখা করে লিফ্টে নীচে নামার সময় তাকে সাতজন মিলে প্লাস্টিকের পাইপে করে বেধড়ক মারধর করে। একজন গৌতম সাউয়ের কাঁধে কামরেও দেয়। প্রাণে বাঁচতে গৌতম সাউ ছুটে ফের ম্যানেজারের ঘরের কাছে চলে গেলেও দুষ্কৃতীরা সকলে মিলে সেখানেও তাকে কিল, চর, ঘুষি মেরে তার সঙ্গে থাকা টাকার ব্যাগ থেকে সাড়ে সাত হাজার টাকা ছিনতাই করে। এই ঘটনা ঘটার সময় হোটেলের ম্যানেজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে এলে তাঁর সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করে ওই দুষ্কৃতীরা বলে অভিযোগ। 
হোটেলের পক্ষ থেকে পুলিশ কে খবর দেওয়া হলে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। গুরুতর জখম গৌতম সাউ বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা করানোর পর বর্ধমান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। এরপরই পুলিশ এই ঘটনায় যুক্ত বাউন্সার সিকান্দার সাহানি কে গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও অভিযোগে নাম থাকা বাকিরা এখনো অধরা রয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে অভিযুক্ত বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। প্রসঙ্গত জেলখানা মোড়ের এই পানশালার বাউন্সারদের বিরুদ্ধে পানশালায় আসা যাওয়া করেন ব্যক্তিদের অনেকেই দীর্ঘদিনের ধরেই অত্যাচারের অভিযোগ করে আসছেন। 
অনেকেরই অভিযোগ, স্থানীয় এলাকার ছেলেরাই এই পানশালায় বাউন্সারদের কাজে যুক্ত হওয়ায় এদের একাংশ নানান ভাবে ক্ষমতা প্রদর্শন করে। বেশ কয়েকবছর আগে এই পানশালা বন্ধ হয়ে যাবার পর কাস্টমারদের অপ্রকিতস্থ অবস্থার সুযোগ নিয়ে তাদের টাকা পয়সা থেকে সোনা গয়নাও ছিনতাই করার অভিযোগ উঠতো। বাধা দিলে তাদেরকে ব্যাপক মারধর করা হতো বলে শোনা যায়। করোনা কালে দীর্ঘদিন এই পানশালা বন্ধ রয়েছে। আর এরই মধ্যে খোদ দিনের বেলায় এক ভুজিয়া ব্যবসায়ীকে হোটেলের মধ্যেই মারধর করে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করায় শহর জুড়ে তীব্র আলোড়ন ছড়িয়েছে।

আরো পড়ুন