ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: ফের দিনের আলোয় সোনার দোকান থেকে সোনার গহনা হাতিয়ে নিয়ে চম্পট দিলো এক দুস্কৃতি। এই ঘটনায় ফের চাঞ্চল্য তৈরি হল বর্ধমানে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ রায়ান ১পঞ্চায়েতের বাজেপ্রতাপপুর, মালিরবাগান এলাকায় একটি গহনার দোকানে। এদিকে ঘটনার পর পুলিশ কে খবর দেওয়া হলেও সন্ধ্যে ৭টা পর্যন্ত কোনো অভিযোগ লিখিত ভাবে থানায় জমা পড়েনি বলেই বর্ধমান থানা সূত্রে জানতে পারা গেছে। কি কারণে ঘটনার ৮ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও চুরির অভিযোগ থানায় করা হল না তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। এমনকি শহরের স্বর্ণ শিল্প ব্যবসায়ীদের সংগঠনগুলিকে বারবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো সত্ত্বেও অনেক স্বর্ণ ব্যবসায়ী তাদের দোকানে সি সি ক্যামেরার ব্যবস্থা করেনি। এদিনের ঘটনার পরও পুলিশ জানতে পেরেছে, মালিডাঙ্গার এই সোনার দোকানটিতে নিজস্ব কোনো সি সি ক্যামেরা ছিল না। যদিও পাশের একটি ওষুধের দোকানে থাকা সি সি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
দোকানের মালিক জানিয়েছেন, তার দোকান থেকে এক ব্যক্তি তাকে বোকা বানিয়ে চারটি কানের দুল সহ আরো কিছু সোনার গহনা নিয়ে চম্পট দিয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, এদিন সকাল প্রায় ১১টা নাগাদ এক যুবক দোকানে এসে কিছু সোনার গহনা দেখতে চান। সেই সময় ওই যুবক পকেট থেকে পাঁচশো টাকার একটা বান্ডিল বের করে দোকানের টেবিলে রাখে। তারপর কিছু গহনা দেখার পরই কয়েকটি গহনা পছন্দ করে বিল করতে বলে ওই যুবক। এরই ফাঁকে তার একটি মোবাইল ফোন দোকানের ড্রয়ারে রাখার জন্যও বলে ওই ব্যক্তি। সেই সময় সামান্য অসতর্কতায় ওই যুবক টেবিলের ওপর রাখা গহনার কয়েকটি বাস্ক নিয়ে একটি বাইকে চেপে দ্রুত চম্পট দেয়। তিনি জানিয়েছেন, তার কিছুক্ষন আগেই ওই দুস্কৃতি দোকানের বাইরে গিয়ে কারুর সঙ্গে ফোনে কথা বলে। আর তারপরই একজন বাইক নিয়ে আসতেই ওই দুস্কৃতি বাইকে চেপে পালায়। তিনি জানিয়েছেন, ঘটনার আকস্মিকতায় তিনি অভিযোগ করতে দেরি করে ফেলেছেন। তবে এই ধরণের ঘটনা এর আগে এই এলাকায় আগে কোনোদিন ঘটেনি বলে তিনি কি করবেন বুঝতে পারছিলেন না। এদিকে ফের সোনার দোকানে চুরির ঘটনায় আলোড়ন পড়েছে শহর জুড়ে। বর্ধমান থানার পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।