বিজ্ঞাপন
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসাপাতাল থেকে নিখোঁজ হয়ে গেল এক রোগী। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বর্ধমানের মেমারী থানার পাল্লা পল্লীমঙ্গল সমিতির সম্পাদক সন্দীপন সরকার জানিয়েছেন, গত ২৮ ফেব্রুয়ারী বিকালে পাল্লা বাজার এলাকায় রাস্তার পাশে পড়ে থাকা অসুস্থ এক বৃদ্ধকে তাঁরা দেখতে পেয়ে তাঁকে সেখান থেকে উদ্ধার করে বর্ধমান ২নং ব্লকের বিডিও-র সহযোগিতায় তাঁরা ওই বৃদ্ধকে বড়শুল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখান থেকে পরে তাঁকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সন্দীপনবাবু জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে ওই বৃদ্ধ তাঁদের জানিয়েছিলেন তাঁর নাম বিমল কুণ্ডু। কিন্তু তাঁর বাড়ির ঠিকানা বা অন্য কিছু জানাতে পারেন নি। এব্যাপারে তাঁরা খোঁজখবর করাও শুরু করেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পরের দিন তাঁরা বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রাধারাণী ওয়ার্ডে গিয়ে ওই বৃদ্ধকে আর খুঁজে পাননি। মঙ্গলবার পর্যন্ত তাঁর কোনো হদিশ তাঁরা পাননি।
সন্দীপনবাবু জানিয়েছেন, এব্যাপারে ইতিমধ্যেই তাঁরা হাসপাতাল সুপারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ জানানো হয়েছে জেলা প্রশাসনের কাছেও। তিনি জানিয়েছেন, কিভাবে হাসপাতালের ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও একজন রোগী নিখোঁজ হয়ে গেলেন তা অত্যন্ত রহস্যময়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির বিষয়টিও তাঁদের ভাবাচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, ওই বৃদ্ধ হাসপাতালের ওয়ার্ড থেকে নিখোঁজ হয়ে গেলেও এব্যাপারে তাঁদের কোনো খবরই দেওয়া হয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে।
অভিযোগ, অথচ তাঁরাই ওই রোগীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তির পাশাপাশি তাঁদের সমস্ত নাম ঠিকানা ও ফোন নাম্বারও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ঘটনার ৩দিন পরও তাঁদের কেন জানানো হল না – এব্যাপারে যথাযথ তদন্তের দাবী করছেন তাঁরা। একইসঙ্গে এই গাফিলতির জন্য যাঁরা দায়ী তাঁদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরও দাবী জানাচ্ছেন তাঁরা।
পাশাপাশি হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজও প্রকাশের দাবী জানাচ্ছেন তাঁরা, কারণ ওই রোগীকে হাসপাতালের ওয়ার্ড থেকে বার করে দেওয়া হয়েছে, নাকি তিনি নিজেই বেড়িয়ে গেছেন তা জানতে সিসিটিভি ফুটেজ দেখা অত্যন্ত জরুরীও। এদিকে, এব্যাপার বর্ধমান হাসপাতালের বিদায়ী ডেপুটি সুপার ডা. অমিতাভ সাহা জানিয়েছেন, ওই রোগীকে ভর্তি করা হয়েছিল ঠিকই কিন্তু তারপর তিনি কিকরে নিখোঁজ হয়েছেন এই বিষয়টি তাঁর জানা নেই।
অন্যদিকে, এব্যাপারে হাসপাতালের সুপার ডা. প্রবীর সেনগুপ্তকে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডেপুটি সুপার ডা. অমিতাভ সাহা এদিনই বর্ধমান থেকে বীরভূম জেলা হাসপাতালে যোগ দিয়েছেন।