বাংলার মানুষ খেতে পাচ্ছে না, তাই ৫টাকার খাবার কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: বাংলার প্রশাসক হিসাবে ব্যর্থ তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার। রাজ্যবাসীকে এখনও ৫টাকার বিনিময়ে খেতে দিতে হচ্ছে সরকারকে। এর থেকে লজ্জার আর কিছু নেই। সোমবার সকালে বর্ধমান শহরে চায়ে পে চর্চা কর্মসূচীতে অংশ নিয়ে এভাবেই নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে গেলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। উল্লেখ্য, এদিনই গোটা রাজ্য জুড়ে রাজ্য সরকারের পৌর উন্নয়ন দপ্তরের সহযোগিতায় প্রতিটি জেলায় জেলায় ৫টাকায় পুষ্টিকর খাবারের সরকারী ক্যাণ্টিনের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। আর ৫টাকায় মা প্রকল্পের নামে এই খাবার নিয়েই কটাক্ষ করে গেলেন দিলীপ ঘোষ। 

বিজ্ঞাপন

এদিন দিলীপবাবু বলেন, ১৯৭০-৭২ সালে মানুষ খেতে পেতো না বলে লঙ্গরখানা চলত। বর্তমানে মানুষের কাছে টাকা পয়সা না থাকায় ৫ টাকায় মা ক্যান্টিন চালাতে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে। মানুষের প্রশাসক হিসাবে ব্যর্থ এই সরকার। তিনি বলেন, মানুষকে ভিখারি করে রেখেছেন তাই ৫ টাকা দিয়ে সরকারি ক্যান্টিনে খেতে হবে। সম্প্রতি দিদির দূত হিসাবে যে কর্মসূচী তৃণমূল কংগ্রেস নিয়েছে তাকে এদিন যমের দূত বলে কটাক্ষ করেন তিনি। দিলীপবাবু বলেন, দিদিমনির কোনো প্রকল্প সফল হয় নি। এটা ঢপ। এগুলো লোক দেখানো। এদিন তাঁকে গুণ্ডা বলার প্রতিক্রিয়ায় দিলীপবাবু বলেন, মানুষের সঙ্গে থাকতে হলে এবং মানুষের উপর অত্যাচার এর বিরোধীতা করতে গেলে যদি তাঁকে গুন্ডা হতে হয় তাহলে তিনি একশো বার গুন্ডা হবেন, হাজার বার গুন্ডা হবেন। 

এদিন ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান প্রসঙ্গে দিলীপবাবু বলেন, ন্যয্যমুল্যের ঔষধের দোকানে ট্যবলেটের মধ্যে ময়দা ভরা। রাতে ওষুধ পাওয়া যায় না। হাসপাতালে কেউ ঢুকলে তার মৃতদেহ বার করতে হয়। ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকানদাররাই বলছেন, এই ওষুধ খেলে কাজ হবে না। এগুলো প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম ক্ষমতাসম্পন্ন। তাহলে এই ন্যায্যমূল্যের দোকানের মানে কি – প্রশ্ন তুলেছেন দিলীপবাবু। তিনি বলেন, দিদিমণি উত্তর বাংলায় গিয়ে বলেছেন গো হারা হেরেছি। এবার নির্বাচনে দিদিমণিরা ছাগল হারা হারবে। বহু চর্চিত শ্লোগান খেলা হবে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এবার খেলা হবে বলছে। তৃনমুলের স্লোগান জয় বাংলা তো বাংলাদেশ থেকে আনা, খেলা হবে শ্লোগান বাংলাদেশের। আওয়ামি লীগের শ্লোগান।

 দিলীপবাবু বলেন, ২ বছর আগের সেই নিবার্চন নিয়ে অনেক প্রশ্ন ছিল। ওখানকার বিরোধীরা নিবার্চনে অংশগ্রহন না করায় জিতেছে। কি করে জিতেছে সবাই জানে। তৃণমূল এবার ওই ভাবে জিততে চাইছে তাই খেলা হবে বলছে। দিলীপবাবু এদিন হুংকার দিয়ে বলেন, আপনাদের ভাইদের বলে দিন খেলা তো হবে, সেটা ভয়ঙ্কর খেলা। কোনো ফাউল, অফসাইডের সুযোগ থাকবে না। এবার খেলাতে আপনারা শান্তিতে গ্যালারিতে বসবেন আর তাঁরা খেলবেন। তিনি বলেন, কাকে নিয়ে খেলবে ওরা? ওদের টিমের ডিফেণ্ডার, ফরোয়ার্ড, স্টাইকার সব বিজেপিতে চলে এসেছে। ওদের হারা নিশ্চিত। দিলীপবাবু বলেন, পৌরসভা ও পঞ্চায়েত নিবার্চনে যারা ভোট লুঠ করেছিল,তারা এবার হাসপাতালে যেতে না চাইলে বাড়ি থেকে বের হবেন না। এদিন এই চায়ে পে চর্চাও হাজির ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দী, জেলা যুব মোর্চার সভাপতি শুভম নিয়োগী, জেলা সম্পাদক সুনীল গুপ্তা প্রমুখরা।

আরো পড়ুন