ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: নির্বাচন ঘোষণার পর থেকেই বর্ধমান শহর সহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা মিলছিলো বিজেপি বিরোধী পোস্টার। কারা সেইসব পোস্টার কখন,কোথায় সাঁটিয়ে দিয়ে চলে যাচ্ছিল তা নিয়ে খোদ বিজেপি নেতৃত্ব সেটাকে বিরোধীদের নোংরামি বলে কটাক্ষ করেছিল। তবে এবার প্রকাশ্যে বর্ধমান শহরের কার্জন গেট সংলগ্ন এলাকায় একদল ছাত্র যুবক ‘বিজেপি কে একটাও ভোট নয়।’ বা ‘নো ভোট ফর বিজেপি’ লেখা পোস্টার লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনায় ভোটের মুখে জেলা জুড়ে আলোড়ন শুরু হয়েছে।
ফ্যাসিস্ট আরএসএস বিরোধী মঞ্চ নামে এই সংগঠনের পক্ষে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র স্বর্ণায়ূ মন্ডল, সুমিত মন্ডল প্রমুখরা এদিন জানিয়েছেন, তাঁরা কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব করছেন না। তাঁদের মনে হয়েছে, বিজেপি গোটা দেশ জুড়ে ব্যাপক অরাজকতা নামিয়ে এনেছে। শাসনের নামে অপশাসন সৃষ্টি করেছে। উত্তরপ্রদেশে একের পর এক নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম সাধারণের নাগালের বাইরে চলে গেছে। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলোকে দিনের পর দিন বিক্রি করে দিচ্ছে। গ্যাস থেকে পেট্রোল, ডিজেলের চরম মূল্য বৃদ্ধির ফলে জিনিসপত্রের দাম মানুষের আয়ত্তের বাইরে চলে গেছে।
তাঁরা জানিয়েছেন, এই বিজেপি সরকার গরিব, খেটে খাওয়া মানুষদের একপ্রকার শেষ করে দিচ্ছে। এরাই আবার ঐতিহ্যের, সংস্কৃতির বাংলা দখলের জন্য ভোটের আগে ঝুড়ি ঝুড়ি মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে মানুষ ঠকানোর খেলা শুরু করেছে। তাঁদের অভিযোগ, বিজেপি দেশে নিজেদের দখলে থাকা রাজ্যগুলোকেই সামলাতে পারছে না, এখন সোনার বাংলা গড়ার ভাওতাবাজি দিচ্ছে। লোকডাউনের সময় পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়ার কোনো ব্যবস্থাই এই বিজেপি সরকার করেনি। তাই বিজেপি কে একটাও ভোট যাতে মানুষ না দেয় তার জন্য বিভিন্ন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা গোটা রাজ্য জুড়ে এই প্রচার চালাচ্ছে।
অন্যদিকে পুস্পজিৎ সাঁই, বিজেপি দক্ষিণ বিধানসভার কো কনভেনার এই পোস্টার মারার পিছনে বামপন্থী কোনো সংগঠনের মদত থাকতে পারে বলে সরাসরি মন্তব্য করেছেন। তিনি সংবাদমাধ্যম কে জানিয়েছেন, ফ্যাসিস্ট শব্দ সাধারণত বামপন্থীদের মুখেই শুনতে পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে পোস্টারের নীচে নির্দিষ্ট কোনো সংগঠনের নাম না থাকলেও ফ্যাসিস্ট আরএসএস বিরোধী মঞ্চের যে নাম উল্লেখ করা হয়েছে , তা থেকে তিনি মনে করছেন এই কাজ কোনো বাম ছাত্র সংগঠনের হতে পারে। যদিও তিনি জানিয়েছেন, এই পোস্টার মেরে বাংলায় ক্ষমতায় আসার ক্ষেত্রে বিজেপিকে আর আটকানো যাবে না।