কার্যতই বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুখরোচক এই পোস্টার কে ঘিরে শহরে রাজনৈতিক চর্চা জমে উঠেছে। এদিন সকালে বর্ধমানের জেলাশাসকের অফিসের সামনে একাধিক সরকারী দেওয়ালে বিভিন্ন কালিতে লেখা এই পোষ্টারগুলি দেখতে পান পথ চলতি মানুষ। যদিও এই পোষ্টার দেখতে পাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই কে বা কারা এসে পোষ্টারগুলি ছিঁড়েও ফেলে। পোষ্টারে লেখা হয়েছে বিজেপির জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দী তৃণমূল কংগ্রেসের দালাল, জেলা সম্পাদক সুনীল গুপ্তা এলপিজি গ্যাস কেলেংকারীর সঙ্গে যুক্ত। একইসঙ্গে তিনি তোলাবাজিতেও যুক্ত। এমনকি দলের প্রাক্তন যুব জেলা সভাপতি শ্যামল রায়ের বিরুদ্ধেও মধুচক্রে যুক্ত থাকার কথা পোস্টারে উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও এব্যাপারে সন্দীপ নন্দী বা সুনীল গুপ্তা কিছু না বললেও গোটা বিষয়টিকে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের চক্রান্ত বলে জানিয়েছেন বিজেপির জেলা সম্পাদক শ্যামল রায়।
তিনি জানিয়েছেন, এটা রীতিমত উদ্দেশপ্রণোদিতভাবেই বিজেপির বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে, সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করতে তৃণমূল কংগ্রেস ভাড়া করা লোক দিয়ে অপপ্রচার করার চেষ্টা চলছে। তিনি জানিয়েছেন, এব্যাপারে বিজেপি কোনো নেতা -কর্মীই চিন্তিত নন বা তাঁরা এই বিষয়টিকে মোটেই পাত্তা দিচ্ছেন না। অন্যদিকে, এই পোষ্টারকে ঘিরে জেলা যুব কংগ্রেসের সভাপতি গৌরব সমাদ্দার জানিয়েছেন, বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের একটা গোপন সমঝোতা আছে, গোপন আঁতাত রয়েছে। এই পোষ্টার বিজেপি এবং তৃণমূলেরই একাংশই লাগিয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
অন্যদিকে, এই পোষ্টার নিয়ে তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র প্রসেনজিত দাস জানিয়েছেন, কে বা কারা এই পোষ্টার লাগিয়েছেন তা তাঁরা জানেন না। তিনি জানিয়েছেন, উত্তম সেনগুপ্ত, খোকন দাসরা দলের নেতা। কে কি লিখেছে তা নিয়ে তাঁরা মোটেই চিন্তিত নন। তিনি জানিয়েছেন, এব্যাপারে তৃণমূলের কেউ জড়িত নয়। বরং বিজেপিরই অন্তর্কলহের ফল এটা।