বিজেপি ভগবান শ্রী রামচন্দ্রকে ব্র্যান্ড এম্বাসেডর হিসাবে ব্যবহার করছে – সুজাতা মন্ডল খাঁ
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,খণ্ডঘোষ: বিজেপি নিজেকে বিক্রি করার জন্য ভগবান শ্রী রামচন্দ্রকে ব্র্যান্ড এম্বাসেডর হিসাবে ব্যবহার করে চলেছে। ভগবান রামচন্দ্র কারও একার নয়। বিজেপি ধর্মের নামে লড়াই লাগিয়ে দেওয়ার খেলায় মেতেছে। জাতপাতের বিভজনে লড়িয়ে দিচ্ছে দেশের মানুষকে। ২১-এর সন্মান রক্ষার লড়াইয়ে একটাও ভোট বিজেপিকে দেবেন না। তাহলে আমার মতো আপনাদের ঘর ভেঙ্গে যাবে। খন্ডঘোষ হাটতলায় তৃনমূল কংগ্রেসের জনসভায় এমনই বক্তব্য রাখলেন তৃণমূল নেত্রী সুজাতা মন্ডল খাঁ।
তিনি বলেন, ‘বিজেপি ঘর জুড়তে জানে না। ভাঙ্গতে জানে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেলা দেওয়া পচা জিনিস দিয়ে বিজেপি বাগান সাজাচ্ছে। আর গোটা বিজেপি দিল্লী-কলকাতা ডেলি প্যাসেঞ্জারি করছে। আমিও দেখিয়ে দেবো কীভাবে তৃতীয় বারের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতায় আনা যায়।’ তিনি বলেন, ‘নিজের স্বামী যখন তৃনমূল ছেড়েছিল তখন মন থেকে মেনে নিতে পারিনি। তবুও স্বামীর সম্মান ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য স্ত্রী স্বত্বার কথা ভেবে স্বামীর জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম এবং তাকে জিতিয়ে এনেছিলাম। কিন্তু বুঝলাম বিজেপি অসভ্য বর্বর দল। বিজেপি জাতপাতের দল। বিভাজনের দল। এই বিজেপি নামক দলটায় সম্মান পাওয়া যায় না। তখন আমি ঠিক করলাম একজন নারী নেত্রীর হাত ধরবো। সেই নেত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি ভেকধারী দল। বিজেপি মুখে এক বলে, ভাবে আর এক। কাজে করে আর এক।’
এদিনের জনসভায় বক্তব্য রাখেন তৃনমূল কংগ্রেসের রাজ্যের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ সহ ছাড়াও অন্যান্য নেতৃত্ববৃন্দ। কুনাল ঘোষ এদিন তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘বিজেপি কি ভেবেছে, কয়েকটা নড়বড়ে বেইমানকে নিয়ে রাজ্য দখল করবে। মমতা ব্যানার্জী তো পরের কথা।আগে অভিষেক ব্যানার্জিকে সামলাক বাংলার এই বিজেপি। কুণাল ঘোষ এদিন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কেও আক্রমণ করেন।’ তিনি বলেন ‘আর তিন চার মাস পরই ভোট। ভোটের ফল বের হওয়ার পর রাজ্যপালকে রাজভবনের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন। বিজেপির বাংলায় কোন মুখ নাই।সারা ভারতবর্ষ থেকে বিজেপি লোক এনে বাংলাকে নোংরা করছে। কয়েকজন দলবদল করেছে। মুকুল রায়, শোভন চট্টোপাধ্যায়, শুভেন্দু সহ কয়েকজন। এদের গলায় ইডির বকলেস বাঁধা আছে। তিনি শুভেন্দু অধিকারীকেও একহাত নেন। বলেন, তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর গোটা পরিবারের সবাই পদ পেয়েছে। আর সব ক্ষমতা ভোগ করার পর দল ছেড়েছে। শুভেন্দু অধিকারী প্রত্যেকটা জায়গায় তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করছে। করুক, বাংলার মানুষ এইসব গদ্দারদের জবাব দেবে। খেলা হবে। তৃণমূল ছাড়া এই বাংলায় অন্য কোনো দলের জেতার ক্ষমতা নাই।’
কুণালবাবু বলেন, ‘আমি দলের বিরুদ্ধে কথা বলেছি। বেশ করেছি। আমি দলের মধ্যে বলেছি। আমি দলকে ভালোবাসি। আমি বেইমানি করে নি। আমার গায়ের রক্তে বেইমানের রক্ত নেই। যাঁরা একদিন আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছিল দলে থেকে তারাই এখন বিজেপিতে চলে গেছে। আমার বিরুদ্ধে মুকুল রায় মামলা করেছিল।’
পাশাপাশি শোভনকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘বৈশাখী ছাড়া শোভন হাঁটতে পারে না। বৈশাখীর পা ফুললে শোভন বাইরে বের হয় না।’ এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া, সহকারী সভাধিপতি দেবু টুডু, বিধায়ক নবীন বাগ, ব্লক সভাপতি অপার্থিব ইসলাম, জেলা যুব সভাপতি রাসবিহারী হালদার প্রমুখ।