ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: বীরভূমের হোটেল ব্যবসায়ী সামিম খান এবং তাঁর গাড়ির চালক বরুণ মূর্মূর মৃতদেহ বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত পাওয়া গেল না ডানকুনির পচাখাল থেকে। শুক্রবার আবার মৃতদেহ দুটির খোঁজে পুলিশ স্নিফার ডগ ও পে লোডার নামিয়ে তল্লাশি শুরু করছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। অপরদিকে, ডানকুনি জোড়া খুনের ঘটনায় দীর্ঘ জেরার পর অবশেষে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করলো জামালপুর থানার পুলিশ। পুলিশি হেফাজত চেয়ে ধৃতদের শুক্রবার বর্ধমান আদালতে তোলা হয়।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, পুলিশী জেরায় খুনের কথা স্বীকার করেছে ধৃতরা। আদালতে তোলার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরেও খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত আকতার মদ্যপ অবস্থায় খুনের কথা স্বীকার করেছে। উল্লেখ্য, ধৃত আকতার আলি মল্লিক, সেখ আব্দুল করিম ওরফে করিম সেখ ওরফে কালো ও সেখ সামিম ওরফে বাবুর বাড়ি হুগলির ডানকুনি পৌর এলাকায়। মৃত রেষ্টুরেন্ট ব্যবসায়ী সামিম খানের ভাই সামিত খানের অভিযোগের পরিপেক্ষিতে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ আগষ্ট বীরভূমের ইলামবাজার থেকে ব্যবসায়ী সামিম হোসেন ৭০ হাজার টাকা সহ একটি বোলেরো পিক আপ ভ্যান নিয়ে কলকাতার গড়িয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন বিস্কুট আনতে। পিক আপ ভ্যানের চালক ছিলেন বরুণ মূর্মূ। পথে ডানকুনির কাছে গিয়ে তাঁরা রাস্তা ভুলে যাওয়ায় ডানকুনি থেকে পথ প্রদর্শক হিসাবে আকতার আলি নামে একজনকে তাঁদের গাড়িতে তোলেন। জানা গেছে, রাত্রি প্রায় ২ টো নাগাদ তাঁরা গড়িয়ায় পৌঁছান। কিন্তু সেখানে রাত্রি হওয়ায় বিস্কুট না পেয়ে তাঁরা ফের ফিরে আসেন ডানকুনিতে। অভিযোগ, এরপরই আকতার, করিম, এবং বাবু তিনজন মিলে সামিম হোসেন এবং বরুণ মূর্মূকে খুন করে ডানকুনির পচাখালে তাঁদের মৃতদেহ ফেলে দেয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জৌগ্রামের কাছে একটি ধাবার পাশ থেকে ওই বোলেরো পিক আপ ভ্যানকে পরিত্যক্ত হিসাবে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ গাড়ির নাম্বার নিয়ে তদন্ত শুরু করে জানতে পারে গাড়িটি ইলামবাজারের ব্যবসায়ী সামিম হোসেনের। এরপরই তাঁর বাড়ির লোকজনদের সঙ্গে জামালপুর থানার পুলিশ যোগাযোগ করেন। বাড়ির লোকজন জামালপুর থানায় এসে বিস্তারিত জানান এবং জামালপুর থানায় ৮ আগষ্ট একটি অপহরণ সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের করেন।