বুধবার থেকে পূর্ব বর্ধমানে চালু হল আন্তঃজেলা বাস পরিষেবার সঙ্গে ই-রিক্সা চলাচল

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: বুধবার থেকে শর্তসাপেক্ষে পূর্ব বর্ধমান জেলায় টোটো বা ই-রিক্সা চলাচলে অনুমোদন দেওয়া হল। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রত্যেকটি টোটোয় ২জনের বেশি যাত্রী বহন করা যাবে না। যাত্রীদের হ্যাণ্ড স্যানিটাইজার এবং মাস্ক না থাকলে চাপানো যাবে না। প্রত্যেক টোটো চালককে হাতে গ্লাভস, মাস্ক এবং নির্দিষ্ট সময়ান্তরে হ্যাণ্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। যাত্রীরা নেমে যাওয়ার পর টোটের ভেতর ও বাইরের অংশকে স্যানিটাইজ করতে হবে। রুট পারমিট থাকলেও কন্টেনমেন্ট এলাকায় টোটো বা ই রিকশা নিয়ে যাওয়া যাবে না। কোনো ক্ষেত্রেই যাত্রী বা টোটো চালক ২এর বেশি যাত্রী চাপানোর জন্য কোনোরকম চেষ্টা করবে না। এক্ষেত্রে প্রশাসন কড়া নজরদারী চালাচ্ছে। এমনকি ভাড়ার ক্ষেত্রেও নিদিষ্ট ভাড়ার অতিরিক্ত নেওয়া যাবে না।
পূর্ব বর্ধমান ই-রিক্সা পুলার্স ইউনিয়নের সম্পাদক অভিজিৎ নন্দী জানিয়েছেন, এদিন জেলার পরিবহন আধিকারিক তাঁদের এই অনুমোদনের বিষয়ে জানিয়েছেন। বেশ কিছু নিয়মবিধি মেনে ই-রিক্সা চালানোর ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, সংগঠনের পক্ষ থেকে এই নির্দেশাবলী সমস্ত টোটো চালক কে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অভিজিৎ বাবু জানান, লকডাউনের জেরে টোটো চালকদের ব্যাপক ক্ষতি সম্মুখীন হতে হয়েছে। প্রশাসনের তরফ থেকে টোটো চলাচলের এই নির্দেশে খুশি চালকরা।
এদিকে টোটোর পাশাপাশি বুধবার থেকেই আন্তঃজেলা সরকারি বাস চলাচলেও অনুমোদন দেওয়ায় করোনা আতংক তীব্র হল। যদিও শ্রমিকের অপ্রতুলতার কারণে সব বাস চালানো সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে এখনও পর্যন্ত পূর্ব বর্ধমান জেলায় বেসরকারি বাস মালিকরা বাস চলাচলের বিষয়ে কোনো ইতিবাচক ভূমিকা নেয়নি। এরই মাঝে সরকার বিরোধী কতিপয় বাস মালিক সংগঠনগুলি বাসভাড়া বৃদ্ধির পক্ষে গোঁ ধরে বসে রয়েছেন। এই সমস্ত সংগঠনের বাস অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দূরপাল্লায় যাতায়াত করে।
অপরদিকে, জেলার অভ্যন্তরে থাকা বর্ধমান জেলা বাস ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তা শরৎ কোনার জানিয়েছেন, জেলাপ্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁদের বাস চালানোর জন্য বলা হয়েছে নির্দিষ্ট শর্ত মেনে। এব্যাপারে তাঁরা সংগঠনগতভাবে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অল্প সংখ্যক যাত্রী নিয়ে বাস চালানোর ক্ষেত্রে তাঁরা চরম লোকসানের মুখে পড়বেন। আবার বেপরোয়া ইচ্ছামত ভাড়া নেওয়া হলেও তা যাত্রীরা দিতে পারবেন না। সেক্ষেত্রে তাঁদের দাবী, একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় বাস ভাড়া বৃদ্ধি করা হোক যাতে বাস মালিক বা যাত্রীরা উভয়েই কোনো সমস্যা না পড়েন।
তিনি জানিয়েছেন, এব্যাপারে তাঁরা চলতি সপ্তাহের শেষেই আলোচনায় বসবেন। তারপরই প্রশাসনের কাছে সিদ্ধান্ত জানাবেন। ফলত, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আগামী সোমবারের আগে বর্ধমান জেলায় বেসরকারী বাস চলাচল না হবারই সম্ভাবনা। যদিও যে হারে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে তার মধ্যে টোটো চলাচল বা বাস চলাচলের এই অনুমতি দেওয়ায় তা আরও ব্যাপকতা লাভ করবে কিনা তা নিয়েই এবার আতংক মাত্রা ছাড়াতে শুরু করেছে।

Recent Posts