ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান:
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের আউটডোরের টিকিট কাউন্টার খুলছে নটায়। মানুষজন টিকিট কেটে যখন নির্দিষ্ট বিভাগে এন্ট্রি করাতে যাচ্ছেন, তখন দেখা যাচ্ছে সেখানে লোক নেই। এন্ট্রি করার দায়িত্বে থাকা লোক আসছেন দশটা নাগাদ। ফলে দূরদূরান্ত থেকে আসা রোগী এবং রোগীর পরিজনরা সমস্যায় পড়ছেন। অনেক সময় চিকিৎসকরা সঠিক সময়ে এসেও, টিকিট এন্ট্রি না হওয়ায় তারা চিকিৎসা শুরু করতে পারছেন না বলে অভিযোগ রোগীর পরিজনদের একাংশে। দীর্ঘদিন এই সমস্যা চলছে বলে রোগীদের অভিযোগ।
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে প্রতিদিন প্রচুর রোগী আসেন আউটডোরে দেখাতে। শুধু দুই বর্ধমান নয়, আশেপাশের বেশকয়েকটি জেলা থেকেই রোগীরা হাসপাতালে আসেন।জেলা লাগোয়া ভিনরাজ্য, যেমন বিহার, ঝাড়খন্ড থেকে অনেক জটিল রোগ নিয়ে বর্ধমান মেডিক্যালে আসে রোগীরা। নিয়ম অনুযায়ী সকাল নয়টা থেকে আউটডোর বিভাগের দোতলায়, কম্পিউটার থেকে রোগীদের টিকিট দেওয়া হয়। ২ টাকার বিনিময়ে এই টিকিট করাতে হয় রোগীদের। কার্যত সকাল থেকেই এই টিকিটের জন্য লম্বা লাইন পড়ে যায়। তারপর সেই টিকিট হাতে পেলে রোগীরা যে বিভাগের চিকিৎসক দেখাবেন সেখানে যেতে হয়। সেখানে গিয়ে ওই বিভাগের খাতায় টিকিটটি এন্ট্রি করাতে হয়। টিকিটের উপর ওই বিভাগের স্ট্যাম্প মেরে নির্দিষ্ট নাম্বার দিলে তবেই ওই টিকিটে ডাক্তারবাবু রোগী জন্য প্রয়োজনীয় উপদেশ এবং ওষুধ লিখে দেবেন। গোল বাঁধছে এখানেই। টিকিট কাউন্টার মোটামুটি সময়ে খুলে গেলেও, মেডিসিন সার্জারি, প্রসূতি বিভাগে এন্ট্রি করার কর্মীরা আসছেন দেরিতে। ফলে ঘণ্টার পর ঘন্টা রোগীকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। লাইন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। চাপ বাড়ছে চিকিৎসকদের উপরেও। কারণ, তাঁদেরও দেরিতে চিকিৎসা শুরু করতে হচ্ছে।
রোগীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই হাসপাতালে এই ব্যবস্থা চলছে। যা নিয়ে রীতিমত অশান্তি হচ্ছে আউটডোরে। হাসপাতালে থাকা পুলিশ কর্মীদের মাঝেমধ্যেই ছুটে গিয়ে রোগীর পরিজনদের ক্ষোভ সামাল দেওয়া হচ্ছে। আমিনা বিবি, রফিকুল জামাদার, সুজয় মালিকদের মত রোগীরা বলেন, টিকিট কাউন্টারে অনেকক্ষণ লাইন দিয়ে টিকিট পেয়ে, এন্ট্রি করানোর জন্য আবার লাইন। সেখানে আবার লোক সময়ে আসেন না, তারপর ডাক্তার দেখানোর লাইন। ডাক্তার দেখানো হলে আবার ওষুধ নেওয়ার লাইন। একদিন হাসপাতাল এলে সারাদিন কেটে যায়। কর্মীরা যদি সময়ে না আসে, তাহলে আমাদের খুব সমস্যা হয়। আরও অভিযোগ, এন্ট্রি করানোর কর্মীরা নির্ধারিত সময়ের আগেই কাউন্টার বন্ধ করে চলে যান। ফলে দেরিতে আসা রোগীরা টিকিট করিয়েও, এন্ট্রি না হওয়ায় চিকিৎসা করাতে পারেননা। তারা এই সমস্যা মেটানোর দাবি জানিয়েছেন।
যদিও হাসপাতাল জানাচ্ছে, তাঁদের কাছে এই বিষয় নিয়ে কোন লিখিত অভিযোগ নেই। তবে, বিষয়টি খোঁজ নেওয়া হবে বলে কর্তিপক্ষ জানিয়েছে।