এম কৃষ্ণা, বর্ধমান: ডান হাতে বাঁশি টা ধরে মুখের সামনে এনে জোরে ফুঁ – খেলা শুরু থেকে শেষ, ফাউল থেকে অফসাইড, হলুদ কার্ড দেখানো থেকে লাল কার্ড। গত চার বছর ধরে যে হাত টা সদা ব্যস্ত থাকতো, আজ তা অতীত। এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় ডান হাতই বাদ চলে গেলো বর্ধমান জেলা রেফারি সংস্থার রেফারি বাপি মাড্ডির।
বর্ধমানের কামার পাড়ার বাসিন্দা বাপি মাড্ডি গত ৬ জুন নিজের বাড়িতে অন্যের ধান ঝাড়ার মেসিনে ধান ঝাড়ার সময় দুর্ঘটনায় পরেন৷ মেসিনে তার ডান হাত ঢুকে যায়৷ গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ শেষমেষ অস্ত্রোপচার করে তাঁর ডান হাতের কুনুই থেকে হাতের অংশ বাদ দিতে হয়।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ চার বছর ধরে বাপি মাড্ডি জেলা রেফারি সংস্থার হয়ে রেফারিং করে আসছেন। ডান হাত চলে যাওয়ায় রেফারিং এর কাজে একপ্রকার বেকার হয়ে পড়লেন তিনি৷ মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনার খবর পেয়েই তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন জেলা রেফারি সংস্থার প্রাক্তন সম্পাদক শিবু রুদ্র। তিনি ও কয়েকজন সদস্য বাপির চিকিৎসার জন্য আর্থিক সাহায্য সহ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। শিবু বাবু জানিয়েছেন, এখন বাপির সুস্থ হয়ে ওঠাটাই আমরা সবাই কামনা করছি।
অন্যদিকে জেলা ক্রীড়া সংস্থার ফুটবল সম্পাদক বিবেকানন্দ সেন ঘটনার দু:খ প্রকাশ করে জানান, ক্রীড়া সংস্থায় বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা করে বাপির জন্য সহায়তা প্রদান করা হবে। একই মত জেলা রেফারি সংস্থার সম্পাদক প্রভাত রাউতের। এদিকে পরিবারের ভরসা বাপির ডান হাত চলে যাওয়ায় গভীর চিন্তায় তার আপনজনেরা। হতাশ বাপিও। বর্তমানে বাপি মাড্ডি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জেলার ফুটবল প্রেমী অনেকেই অবশ্য এই ঘটনায় শোকাহত। তাঁরাও চেষ্টা করছেন এই কঠিন সময়ে বাপি মাড্ডির পাশে দাঁড়াতে।