মহামারীর সঙ্গে যুদ্ধরত সংবাদ মাধ্যমকে সম্মান জানাতে এগিয়ে এল লায়ন্স বিশ্ববন্ধু

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: করোনা উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গোটা দেশ জুড়ে লকডাউনের পর থেকে যাঁরা নিরলসভাবে জনসচেতনতার কাজ করে চলেছেন তাদের মধ্যে পুলিশ ও সাংবাদিকদের জন্য এবার এগিয়ে এল বর্ধমানের বিশ্ববন্ধু লায়ন্স ক্লাবের সদস্যরা। করোনা উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের অধীন কর্মচারী এবং আংশিক বা চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের জন্য একাধিক সুযোগ সুবিধা এবং বীমার ব্যবস্থা করা হলেও কেবলমাত্র যাঁরা ২৪ ঘণ্টা এই মহামারীর সঙ্গে যুদ্ধ করে চলেছেন সেই সংবাদ মাধ্যমের জন্য রাজ্য সরকার এখনও কোনো উদ্যোগ না নিলেও এবার এগিয়ে এল বেসরকারী সংস্থা।
সম্প্রতি বর্ধমানের কালীমাতা সংঘের পক্ষ থেকে প্রথম করোনার জেরে যখন সাধারণ মানুষ রাস্তাঘাটে বার হচ্ছেন না, কিন্তু ২৪ ঘণ্টাই সংবাদ মাধ্যম তাদের কাজ করে চলেছে – তাঁদের সম্মানিত করা হয়। কর্তব্যরত সাংবাদিকদের জল, বিস্কুট প্রভৃতি তুলে দিয়ে কার্যত স্যালুট জানানো হয়। কালিমাতা সংঘের পর এবার বর্ধমানের বিশ্ববন্ধু লায়ন্স ক্লাবের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার বর্ধমান শহরে সমস্ত কর্তব্যরত ট্রাফিক ও পুলিশ কর্মী এবং সিভিক ভলেণ্টিয়ারদের হাতে জল ও খাবার তুলে দেওয়া হয়। একইসঙ্গে এদিন সাংবাদিকদের হাতেও একইভাবে জল ও খাবার তুলে দেওয়া হয়।
লায়ন্স বিশ্ববন্ধুর সম্পাদক সুব্রত মণ্ডল জানিয়েছেন, যেভাবে এই কঠিন পরিস্থিতিতে সাংবাদিকরা সম্পূর্ণ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিনরাত কাজ করে চলেছেন পুলিশের মতই, যার জেরে এখনও জনজীবন সুস্থ রয়েছে তাই তাঁদের পক্ষ থেকে এদিন তাঁরা এই মহান সেবাকে সম্মান জানাতেই এই উদ্যোগ নিয়েছেন।
এদিকে, এদিনই বর্ধমান শহরের একদল তরুণ, যাঁরা স্বাভাবিক সময়ে সন্ধ্যের দিকে চায়ের দোকানে আড্ডা মারতে জড়ো হন – তাঁরা নিজেদের উদ্যোগে ১ লক্ষ ১১ হাজার ১১১ টাকা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে তুলে দিলেন। তাঁরা জানিয়েছেন, করোনার জেরে গত ১৫দিন ধরে তাঁরাও কার্যত গৃহবন্দি। সন্ধ্যের আড্ডাটা না হওয়ায় তাঁরা মুষড়েও পড়েছেন। কিন্তু তারই পাশাপাশি তাঁরা ফোনের মাধ্যমে বিভিন্ন জনের সঙ্গে যোগাযোগ করে এই অর্থ সাহায্য তুলে দেবার উদ্যোগ নেন। প্রায় ১৬৭ জন মিলে এই অর্থ তুলে দিয়েছেন। এঁরা জা্নিয়েছেন, এঁদের মধ্যে যেমন চাকরী প্রত্যাশী বেকারও রয়েছেন, তেমনি সরকারী ও বেসরকারী কর্মচারী, ব্যবসায়ীও রয়েছেন।

Recent Posts