মাকে খুন করে পাশেই বসে রইল ছেলে, লোমহর্ষক এই ঘটনা ঘটেছে আউশগ্রামে

Souris  Dey

Souris Dey

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,আউশগ্রাম: মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলের হাতে নৃশংসভাবে খুন হল মা। মাকে খুন করার পর ছেলে কয়েক ঘন্টা বসে থাকলো মায়ের রক্তাক্ত মৃতদেহের পাশে। লোমহর্ষক এই ঘটনা ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম থানার ধনকুড়া গ্রামে। মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকেই মনিকা পাল (৫৪) নামে এক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃতদেহের পাশেই তখন বসে ছিল ঘাতক ছেলে অমর পাল। তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দেহটি এদিন ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় বর্ধমান মেডিকেল কলেজের পুলিশ মর্গে।

বিজ্ঞাপন

ধনকুড়া গ্রামের বাসিন্দা পরিমল পাল ও মনিদেবীর একমাত্র সন্তান অমর(২০)। পরিমলবাবু রাঁধুনীর কাজ করেন। কোনওরকমে সংসার চলে। কাজের জন্য পরিমলবাবুকে অধিকাংশ সময়েই বাইরে থাকতে হয়। কয়েকদিন আগেই তিনি পর্যটকদের একটি দলের সঙ্গে রান্নার কাজে ভিনরাজ্যে গিয়েছেন। বাড়িতে ছেলেকে নিয়ে ছিলেন মনিকাদেবী। আগে গ্রামের মধ্যেই থাকতেন পরিমলবাবুরা। মাস ন’য়েক আগে গ্রামের ধারে মাঠের কাছাকাছি ঘর করে বসবাস শুরু করেন। বাড়ির সীমানাপ্রাচীর নেই। মঙ্গলবার সকালে কয়েকজন কৃষক মাঠে যাওয়ার সময় দেখতে পান ঘরের মেঝেতে পড়ে রয়েছে মনিদেবীর রক্তাক্ত দেহ। পাশেই বসে অমর। সঙ্গে সঙ্গে তারা গ্রামের অন্যান্যদের জানান। তারপর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

ছোড়া ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহটি উদ্ধার করে। স্থানীয়রা জানান অমর যখন সপ্তম শ্রেণীতে পড়ত তখন থেকেই তার মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। তারপর থেকে আর পড়াশোনা করেনি। চিকিৎসা চলছিল। জানা গেছে, এদিন অধিক রাত পর্যন্ত মোবাইল নিয়ে ছিল বলে মা আপত্তি করেছিলেন।  গ্রামবাসীরা জানান অমর এর আগেও তার মাকে মারধর করেছিল। অভিযোগ বছর দেড়েক আগেও মনিদেবীকে বটি দিয়ে কোপায় অমর। তখন প্রতিবেশীরা চলে আসার মনিদেবী প্রাণে রক্ষা পান। কিন্তু এখন গ্রামের একপাশে মাঠের মাঝে বাড়ি হওয়ার কারণে কেউ চিৎকার চেঁচামেচির আওয়াজ পাননি। পুলিশের প্রাথমিকভাবে সন্দেহ, সোমবার গভীর রাতে মনিদেবীর মাথা ঘরের মেঝেয় ঠুঁকে ঠুঁকে থেতলে মারে তার ছেলে অমর।

আরো পড়ুন