মাদক সহ বর্ধমানের এক তৃণমূল নেতার ছেলে ধরা পড়ল নদীয়ায়, চাঞ্চল্য

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: গোটা ভারতবর্ষ জুড়ে যখন বলিউড অভিনেতা শাহরুখ পুত্র আরিয়ানের মাদক কারবার নিয়ে রীতিমত বাজার সরগরম সেই সময় বর্ধমান ২নং ব্লকের একজন নামজাদা তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েতের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক নেতার ছেলেকে মাদক কারবারে যুক্ত থাকার অভিযোগে নদীয়ার কালিগঞ্জ থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনার পর থেকেই গোটা ব্লক জুড়ে ব্যাপক রাজনৈতিক শোরগোল উঠেছে। 

দলীয় একটি সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার সাতসকালে বর্ধমানের একটি অ্যাম্বুলেন্স চালককে নিয়ে ওই নেতার ছেলে আরও একজনকে রোগী সাজিয়ে কালিগঞ্জ থানার একটি গ্রামে যান। গ্রামের রাস্তা সংকীর্ণ হওয়ায় এ্যাম্বুলেন্স চালককে গ্রামের বাইরেই অপেক্ষা করতে বলে দুজন গ্রামের সরু রাস্তা ধরে গ্রামের ভেতরে চলে যান। জানা গেছে, প্রায় ঘণ্টাখানেক পর ওই দুজন ফিরে আসেন এ্যাম্বুলেন্সে। এরপর এ্যাম্বুলেন্স চালক তাঁদের নিয়ে যখন প্রায় ৫ কিমি চলে আসেন সেই সময় পথে তাঁদের গাড়ি আটকায় কালিগঞ্জ থানার পুলিশ।
গাড়িতে করে মাদক পাচার করার দায়ে ৩জনকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও এ্যাম্বুলেন্স চালকের কোনো অপরাধ না থাকার বিষয়ে নিশ্চিত হবার পর পুলিশ তাঁকে ছেড়ে দিলে তিনি বর্ধমান ফিরে আসেন। অন্যদিকে, ওই তৃণমূল নেতার ছেলে সহ ২জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এদিকে, ওই অ্যাম্বুলেন্স চালক বর্ধমানে ফিরে আসার পরই গোটা বিষয়টি জানাজানি হয়। ওই তৃণমূল নেতাও স্থানীয়দের কাছে স্বীকার করেছেন তিনিও জেনেছেন তাঁর ছেলেকে মাদক কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ওই তৃণমূল নেতা সম্প্রতি বর্ধমান ২নং ব্লকের একটি পঞ্চায়েতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেয়েছেন। তৃণমূল দলের পক্ষ থেকেই তাঁকে ওই পদে বসানো হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই ওই নেতার ছেলে মাদক কারবার এবং মাদকাসক্ত বলে এলাকায় পরিচিত হয়ে উঠেছেন। রীতিমত একটি চক্র চালানোরও অভিযোগ উঠেছে তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে। এদিকে, এই ঘটনা সম্পর্কে বর্ধমান জেলা পুলিশের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, এখনও নদীয়া জেলার পক্ষ থেকে তাঁদের কাছে কিছু জানতে চাওয়া হয়নি। তবে তাঁরাও বিষয়টি জেনে নিজেদের মত করেই তদন্ত শুরু করেছেন।
বর্ধমান জেলা পুলিশের কাছে এখন বড় প্রশ্ন, ওই মাদক বর্ধমান থেকে নদীয়া জেলায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল নাকি নদীয়া জেলা থেকে বর্ধমানে নিয়ে আসা হচ্ছিল তা নিয়েই। জানা গেছে, ওই দুই ব্যক্তি এ্যাম্বুলেন্সের সিটের নিচে ওই মাদক রেখেছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়েই কালিগঞ্জ থানার পুলিশ তাঁদের বামাল সমেত গ্রেপ্তার করে।
         ছবি – ফাইল

Recent Posts