ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: প্রেম ঘটিত কারণে এক যুবকের আত্মহত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দিল বর্ধমান শহরের লক্ষ্মীপুর মাঠ
বিজ্ঞাপন
কাঁটাপুকুর এলাকায়। মৃত যুবকের নাম সেখ আফতাব (১৭)। লক্ষ্মীপুর মাঠের কাঁটাপুকুর এলাকায় মা রেশমা খাতুনকে নিয়ে সে ভাড়া বাড়িতে থাকত। আসল বাড়ি মেমারীর স্কুলপাড়া এলাকায়। রেশমা খাতুন জানিয়েছেন, শনিবার রাতে ঘরের মধ্যেই সেখ আফতাবের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, রবিবার দুপুরে মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে আসার পর মৃতের আত্মীয়স্বজন এবং পাড়া প্রতিবেশীরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর মাঠ এলাকারই বাগানবাড়ি এলাকার বাসিন্দা এক কিশোরীর সঙ্গে আফতাবের সম্পর্ক তৈরী হয়। শনিবার ওই কিশোরীর সঙ্গে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আফতাবের মা ও আফতাব কিশোরীর বাড়িও যান। কিন্তু উভয়েই নাবালক হওয়ায় মেয়ের বাড়ির পক্ষ থেকে কয়েকবছর অপেক্ষা করার কথা বলা হয়।
জানা গেছে, এরপরই মা ও ছেলে ফিরে আসেন। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রাতে আফতাব ফোনে দীর্ঘক্ষণ কথা বলে ওই কিশোরীর সঙ্গে। সেই সময় সে আত্মহত্যার কথাও জানায়। পরিবার ও পাড়া প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, হোয়াটসঅ্যাপ ভিডিও কলে ওই যুবক আত্মহত্যার প্রস্তুতিও দেখায়। পরিবারের অভিযোগ, সেই সময় ওই কিশোরী যদি তাঁদের খবর দিতেন তাহলে হয়ত যুবককে বাঁচানো যেত। কিন্তু তা না করায় যুবককে অকালে হারাতে হল। যদিও ফোনে ভিডিও কলের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কিশোরীর পরিবারের লোকজন।
এদিকে, রবিবার দুপুরে মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করে নিয়ে আসার পরই উত্তেজনা ছড়ায়। এলাকার বাসিন্দারা ওই কিশোরী এবং তার মাকে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসেন। ম্যাটাডোরে থাকা যুবকের মৃতদেহের পাশেই কিশোরীকে বসানো হয়। মৃত যুবকের হাতে সিঁদুর দিয়ে তা জোর করে কিশোরীর মাথায় পড়িয়ে দেবার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে, ওই কিশোরীর হাতে শাঁখা, পলাও পড়ানো হয় এবং তা ভেঙেও দেওয়া হয়। এমনকি মৃত কিশোরের পা দিয়ে কিশোরীর মাথার সিঁদুর মুছে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এরপরই উত্তেজিত মহিলারা কিশোরীকে চড়থাপ্পর মেড়ে বাড়ি পৌঁছে দেয়। এরপর ওই যুবকের দেহ মেমারীতে নিয়ে চলে যাওয়া হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বর্ধমান থানার পুলিশ। কোনো পক্ষই অভিযোগ না করায় ফিরে আসতে হয় পুলিশকে। ওই কিশোরীর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ জানানো হবে বলে পরিবার সূত্রে জানানো হয়েছে।