মেমারিতে জিটি রোডের উপর ৩৩নং রেল গেটের বেহাল দশায় আতঙ্কগ্রস্থ পুরবাসী, নির্বিকার প্রশাসন

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,মেমারি: জিটি রোডের ওপর দিয়ে গেছে রেল লাইন। আর রেল লাইনের ওপর রয়েছে রেল গেট। আর সেই রেল গেট সংলগ্ন রাস্তার হাল দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল। ফলে প্রতিদিন প্রাণ হাতে নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে মেমারি শহরের পুরসভা লাগোয়া জিটি রোডের রেলের ৩৩নং গেট টপকে। আর এই নিয়েই ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে মেমারির বাসিন্দাদের মধ্যে।

উল্লেখ্য, হাওড়া বর্ধমান মেন লাইন শাখার ৩৩ নম্বর রেলগেট রয়েছে মেমারির পুরসভা লাগোয়া জিটি রোডের উপর দিয়ে। রেলগেটের একদিকে যেমন রয়েছে মেমারি পৌরসভা, মেমারি ১-বিডিও অফিস, হাসপাতাল ও অগ্নিনির্বাপন কেন্দ্র। এছাড়াও রয়েছে একাধিক বিদ্যালয়। অন্যদিকে রাস্তার ওপর প্রান্তে রয়েছে, মেমারি গভর্নমেন্ট পলিটেকনিক কলেজ, মেমারি কলেজ, হাই মাদ্রাসা সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।

স্বাভাবিকভাবেই শহরের দুই প্রান্তের মানুষকে প্রতিনিয়ত প্রয়োজনে এই রেলগেট পারাপার করে সারাদিন নানান কাজ করতে যেতে হয়। কিন্তু অনেক সময়ই এই রেলগেটে তীব্র যানজটের কারণে দীর্ঘক্ষণ মূল্যবান সময় নষ্ট করে অপেক্ষা করে থাকতে হয় কখন এই রেলগেট খুলবে। এই নিয়ে প্রায়ই সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। শুধু তাই নয়, দীর্ঘদিন এই রাস্তার সংস্কার না হওয়ায় পিচ উঠে গিয়ে রীতিমত পাথর বেরিয়ে গেছে রাস্তার। স্থানীদের অভিযোগ, দীর্ঘ ৪ মাসেরও বেশি সময় ধরে দাঁত মুখ বার করে মারাত্মক অবস্থায় পড়ে রয়েছে এই রাস্তা। তবুও উদাসীন রেল কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বারবার রেল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও পরিস্থিতির কোনো বদল হয়নি। অভিযোগ যানবাহন পারাপারের সময় বেহাল রাস্তার কারণে রেল লাইনের মাঝে গিয়ে খারাপ হয়ে গেলে প্রায়ই বিঘ্ন ঘটে রেল চলাচলের। তখন শেষমেষ খেসারত দিতে হয় সাধারণ মানুষকেই। রীতিমত আর্থিক জরিমানার কবলে পড়তে হয় গাড়ির চালক ও মালিককে। এই নিয়েও দিনদিন ক্ষোভ বাড়ছে গাড়ি চলকদের মধ্যে। ফলে হাওড়া বর্ধমান মেন লাইনে মেমারির গুরুত্বপূর্ন ৩৩ নম্বর রেলগেট এখন কার্যত নিত্যদিনের যাতায়াতের বিভীষিকায় পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেমারি শহরের অধিকাংশ বাসিন্দা।

শহরবাসীরা চাইছেন অবিলম্বে নজর দেওয়া হোক এই রেল গেটের দিকে। দ্রুত সংস্কার করে সাধারণের চলার উপযোগী করে তোলা হোক জিটি রোড। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন পথচারীরা বলেই অভিযোগ। কার্যত মেমারিবাসী প্রতিদিন এই রাস্তায় যাতায়াতের সময় আশঙ্কার প্রহর গুনছেন এই ভেবে যে, যেকোনো মুহূর্তে বড়সড় দুর্ঘটনার না সম্মুখীন হতে হয়।

Recent Posts