ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক, পূর্ব বর্ধমান: করোনার ভ্যাকসিন নেওয়ার পর অসুস্থ এক বৃদ্ধের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ালো পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারির পাল্লা রোড এলাকায়। ঠিক কি কারণে এই মৃত্যু তা নিয়ে ধন্ধে রয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তা আর টি পি সি আর যন্ত্রে পরীক্ষা করা হবে। সেই পরীক্ষার রিপোর্ট আসার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
মৃত ব্যক্তির নাম বলাই বালা। বয়স পঁচাত্তর বছর। বাড়ি পাল্লা ক্যাম্প ৪ নং নীলকুটি বাঁধ এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক দিন ধরেই তিনি হালকা জ্বরে ভুগছিলেন। খাওয়া-দাওয়া কমে গিয়েছিল। তাঁর স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যরা তাঁকে পাল্লারোড প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। সেখানেই তাঁকে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল। এরপর তিনি আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। মেমারি হাসপাতাল হয়ে তাকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বুধবার সকালে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। যদিও মৃত্যুর সঠিক কারণ বুঝে উঠতে না পারায় পরিবারের পক্ষ থেকে এখন কোনো অভিযোগ জানানো হয়নি।
মৃতের ছেলে তারক বালা বলেন,দু তিন দিন ধরে বাবার শরীর খারাপ ছিল। হালকা জ্বর ছিল। ঠান্ডা লেগে ছিল। খাওয়া দাওয়া ঠিক মতো করছিলেন না। আমরা চিকিৎসার জন্য পাল্লা রোড হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। তারপর থেকেই শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। বিকালে বড়শুল হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখান থেকে মেমারি হাসপাতাল নিয়ে যেতে বলা হয়। মেমারি হাসপাতাল থেকে রাত দুটো নাগাদ বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছিল। বুধবার সকাল সাতটা নাগাদ সেখানে বাবা মারা যান।
মৃত বৃদ্ধার বউমা পিংকি বালা বলেন, শশুরমশাইয়ের শরীর খারাপ ছিল। পাল্লা রোড হাসপাতালে নিয়ে গেলে বলে ভ্যাকসিন দেবে। বাড়ি থেকে আধার কার্ড নিয়ে যাওয়া হয়। ভ্যাকসিন নিয়ে বাড়ি আসার পর উনি ভাত খান। কিছু পরেই শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। বড়শুল নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে মেমারি হাসপাতাল ও পরে বর্ধমান হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। এদিকে মৃতদেহ কখন পরিবারের হাতে দেওয়া হবে তা নিশ্চিত করে পরিবারের কেউ জানাতে পারেননি।