যশের প্রভাবে মেমারীর নিমো ১ ও ২ অঞ্চলে একাধিক কালভার্ট ধ্বসের কবলে, আতংকে ভুগছেন বাসিন্দারা

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: যশের প্রভাবে লাগাতার বৃষ্টির জেরে ধ্বস নামল মেমারীর নিমো ১ ও ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকটি কালভার্টে। জলের তোড়ে ভেঙে গেছে বেশ কিছু কালভার্টের গার্ডওয়াল। জলমগ্ন হয়ে পড়ে বেশ কিছু এলাকা। এই ঘটনায় রীতিমত আতংক সৃষ্টি হয়েছে এই দুই পঞ্চায়েত এলাকার মানুষজনের। আতংক আরও বেড়েছে ইয়াস বিদায় নিতে না নিতেই ঢুকতে শুরু করেছে বর্ষা। ফলে গোটা বর্ষাকাল জুড়েই এই সমস্যা আরও তীব্রতর আকার নিতে পারে বলে মনে করছেন গ্রামবাসীরা। যদিও এই ঘটনার খবর পেয়েই মেমারি ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বসন্ত রুইদাস জানিয়েছেন, এই খবর পাওয়ার পরই তাঁরা দ্রুত পরিস্থিতি মোকাবিলায় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। 

গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, একদিকে যশের প্রভাবে প্রবল বৃষ্টি, সঙ্গে দোসর নিম্নচাপের বৃষ্টির জেরে বুধবার রাতে মেমারির বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। বেশকিছু বাড়িতে জল ঢুকে যায়। শুক্রবার সকালেও জল না নামায় সমস্যায় পড়েন নিমো ১ ও নিমো ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে এলাকার মানুষজন। নিমো এক গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার পারিজাত নগরের কাছে ডিভিসি সেচ ক্যানেলের বাঁধের উপর নির্মিত একটি কালভার্টে ধ্বস নামে। একইসঙ্গে সেচ খালের ওপর নির্মিত কালভার্টের একটি গার্ডওয়াল ধ্বসে পড়ে। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, কালভার্টের সঙ্গে কচুরিপানা আটকে গিয়ে জলস্তর বৃদ্ধি পেতে থাকে। বুধবার বিকেলে বিষয়টি দেখতে পেয়ে বাসিন্দারাই বৃষ্টির মধ্যেই সেচ ক্যানেল পরিষ্কারের কাজে নামেন।
অন্যদিকে, পারিজাতনগর বটতলা বাজার থেকে মহেশডাঙ্গা ক্যাম্পে যাওয়ার পথে, সেচ ক্যানেলের ওপর নির্মিত কালভার্টে বিশাল ধ্বস নামে। কালভার্টের চারটি গার্ডওয়াল ধ্বসের কারণে বেঁকে যায়। ফলে আতঙ্ক বাড়তে থাকে। কোনো কারণে গার্ডওয়ালগুলি ভেঙে পড়লে রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবার আতংক তাড়া করতে শুরু করে বাসিন্দাদের। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, রাস্তা বন্ধ হয়ে গেলে মেমারি শহরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার আশংকা তৈরী হয়েছে। প্রায় তিনটি এলাকার বাসিন্দাদের চরম সমস্যায় পড়তে হবে। ভারী যানবাহন নিয়ে মেমারি শহরে প্রবেশ করতে হলে নিমো অথবা সলদা এলাকা দিয়ে প্রায় তিন কিলোমিটার পথ ঘুরে মেমারি শহরে প্রবেশ করতে হবে। সে ক্ষেত্রে জরুরী পরিষেবার জন্য সমস্যায় পড়তে হবে সাধারণ মানুষকে।
বাসিন্দারা জানিয়েছেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত হস্তক্ষেপ করা প্রয়োজন। এদিকে, বৃহস্পতিবার রাতেও কয়েক পশলা বৃষ্টি হলেও, শুক্রবার দুপুরের পর থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ায় স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে সাধারণ মানুষের জনজীবন। যদিও পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে দ্রুত ওই কালভার্টগুলি মেরামত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।