রাজ্যের নির্দেশে বর্ধমান পৌর এলাকার হকারদের তালিকা তৈরী হল

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুসারে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের উদ্যোগে রাজ্যের সমস্ত পুরএলাকায় হকারদের তালিকা তৈরীর কাজ শুরু হল। গোটা রাজ্যের সঙ্গে পূর্ব বর্ধমান তথা বর্ধমান পুরসভাতেও শনিবার থেকে পুরএলাকার মোট ৩৫টি ওয়ার্ডে কতজন হকার রয়েছেন এবং তাদের হাল হকিকত সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানার কাজ শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, রাজ্যের সমস্ত পুরসভা এলাকায় ফুটপাতের হকারদের বিনা সুদে ঋণ, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ও সামাজিক প্রকল্পের সুবিধা দেওয়ার কথা আগেই ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। লকডাউন শুরু হতেই ফুটপাতের হকারদের ব্যবসা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। লকডাউন উঠলেও বিক্রিবাটা একপ্রকার নেই বললেই চলে। অনেকেই চরম আর্থিক সংকটে ভুগছেন। তাই তাঁদের পাশে দাঁড়াতে উদ্যোগী হয়েছেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম নথিভুক্তিকরণের এই কাজ ১৪জুলাইয়ের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আর তাই হকারদের পূর্ণাঙ্গ একটি তালিকা তৈরীর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বর্ধমান পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসার অমিত গুহ জানিয়েছেন, রাজ্যের নির্দেশে এবার শহরের ফুটপাতের হকারদের নিয়ে একগুচ্ছ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তাঁদের সরকারি নানান সুযোগসুবিধার আওতায় আনা হবে। তাই গোটা পুর এলাকার ফুটপাত হকারদের নামের তালিকা তৈরির কাজ শুরু করা হয়েছে। জানা গেছে, ফুটপাতের হকারদের ব্যবসার জন্য ১০হাজার টাকা বিনা সুদে ঋণ দেবে সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগে খুশী হকাররা।
পুরসভা সূত্রে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, বর্ধমান পৌর এলাকার ৩৫টি ওয়ার্ডে প্রায় দু হাজারের কাছাকাছি হকার রয়েছেন। সোমবারের মধ্যেই সমস্ত হকারের বায়োডাটা সংগ্রহ করার কাজ শেষ করা হবে। মঙ্গলবারের মধ্যে সেই তালিক রাজ্য পৌর বিষয়ক দপ্তরে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। অমিত গুহ জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে হকারের বয়স,নাম,ঠিকানা,কোথায় ব্যবসা করেন, কি ধরনের ব্যবসা, কতদিন ধরে তাঁরা ব্যবসা করছেন, মাসে কত আয় হয়, তাঁদের সঠিক পরিচয় পত্র সহ সবরকম তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।